,

বাছিরগঞ্জ মাছের বাজার :: দিনে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ

স্টাফ রিপোর্টার : সরগরম শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় নুরপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী বাছিরগঞ্জ (সুতাং) বাজারটি। প্রতিদিন বাজারে কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। পুকুর, নদী, খাল-বিল ও হাওর থেকে মাছ শিকার করে প্রতিদিন ভোর রাতে শায়েস্তাগঞ্জ বাছিরগঞ্জ (সুতাং) বাজারে আসেন জেলেরা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা বাজারে পাওয়া যায় মিঠা ও নুনা পানির সব ধরনের মাছ। তবে জায়গা সংকটের কারণে সকল মৎস্য আড়ৎদের বানিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করে বাজার কমিটি।
শায়েস্তাগঞ্জে বাছিরগঞ্জ (সুতাং) বাজারে প্রতিদিন সাগরের ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ এবং দেশি মাছ বেচাকেনার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় মৎস্য আড়ৎ শায়েস্তাগঞ্জে। দেশি মাছ রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, চিতল, পাংগাস, পাবদা, বাইম, শোল-গজার, ছোট মাছসহ নানা ধরনের মাছ নিয়ে বাছিরগঞ্জ (সুতাং) বাজারে আড়ৎতে আসেন জেলেরা।
আর এখান থেকে মাছ কিনে ঢাকা, মৌলভীবাজার, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাট-বাজারে খুচরা বিক্রি করে বাছিরগঞ্জ বাজারের রাব্বি মৎস্য আড়ৎতের মার্চেন্ট এন্ড কমিশন এর পরিচালক আফাজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আড়ৎতে চাহিদা মতো প্রচুর মাছ আসলে দাম খুব সস্তা। আবার আড়ৎতে চাহিদা মতো মাছ না আসে তাহলে দাম যদি ও বেশি।
তবে এখানে চাহিদা মতো সব ধরনের বরফ ছাড়া টাটকা মাছ পাবেন। অনেক হোটেল-রেস্তরা, বিয়ে-বাড়িতে অনেক মাছ পাইকারি হিসেবে ক্রয় করে নিয়ে যায়।
অন্যান্য হাট-বাজার থেকে বাছিরগঞ্জ বাজারে অনেক সুবিধা। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে ২২টি মৎস্য আড়ৎতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হয়। তবে বাজারে অবকাঠামো আরো উন্নত হলে আরও বেশি পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা আসবেন বলে মনে করেন বাজার কমিটি ।
এ বিষয়ে বাছিরগঞ্জ বাজার মেসার্স রাব্বি মৎস্য আড়ৎতের প্রোপ্রাইটর ও উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মোতালিব জানান, বাজারে জায়গা বেশ কম। খুব কষ্ট করে সকল আড়ৎদার এখানে আছি। সরকারের প্রচুর খাসের ভূমি রয়েছে বাছিরগঞ্জ বাজার এলাকায়। ইচ্ছা করলে সরকারি ভাবে বেশ কিছু আমাদের ভূমি দিলে ব্যবসাটি আরো সুন্দর হবে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যেন বাজারটি আরো বড় ও দোতলা করে দিলে খুব ভালো হয়। হবিগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় হাওর রয়েছে ১৫৬টি। এসব জলাশয় থেকে বছরে গড়ে উৎপাদন হয় ১২০ কোটি টাকার মাছ।


     এই বিভাগের আরো খবর