,

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের বাসা-বাড়িতে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন ॥ সংঘর্ষে আহত ৫

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জ রেল কলোনীর বাসা-বাড়ি থেকে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাসহ ট্রেন কর্মচারী হামলা শিকার হয়েছেন। তবে তাদের অভিযোগ, মাসে তারা রেল কর্মকর্তাদের ৫শ থেকে শুরু করে প্রতি ঘরে ১ হাজার টাকা বিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরও কেনো তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো সে জন্য প্রতিবাদ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
রেলওয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলোনীর বাসা দখল করে এবং বাসাকে হোটেল-রেস্তোরা, ভাসমান বস্তি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করার ফলে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আখাউড়া রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ। স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ। দীর্ঘদিন আগে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তারা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যেত।
আখাউড়া রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এসএসএই ইলেকট্রিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান বলেন, রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকায় সকাল ১১টা থেকে রেলওয়ে পরিত্যক্ত কোয়ার্টার, বস্তি ও দোকানগুলোতে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান চালানো হয় এবং অবৈধ বৈদ্যুতিক ক্যাবল জব্দকৃত মালামাল নিয়ে এসে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এলাকায় এনে আগুনে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালানো হয়। এর মধ্যে রেলওয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকারীরা ঘেরাও করে জব্দকৃত ক্যাবল তার বস্তা ভেতর থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ পরিস্থিতিতে তারা রেল পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়া হয়। জব্দকৃত ক্যাবল তারগুলো সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্ত্রিকা ট্রেনে নিয়ে ওঠার সাথে সাথে বাহির থেকে এলোপাতাড়িভাবে পাথর নিপে করে জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে গেলে ট্রেনে থাকা ট্রেনের ৩জন স্টাফ, বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানসহ কয়েকজন আহত হন এবং ট্রেনের পাওয়ার্কার এর মেইন সুইচ পাথরের আঘাতে ভেঙ্গে গেলে ট্রেনটি থেমে যায়। পরে পাওয়ারকার সচল হলে ট্রেনটি পুনরায় ছেড়ে যায়।
এ ঘটনায় ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়া সিগনাল আউটারে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়ানো ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় রেলওয়ে প্রশাসন থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া নিচ্ছিলো। স্থনীয়রা আরও অভিযোগ করেন প্রতিমাসে বিল দেয়ার পরও রেল কর্মকর্তারা অন্যায়ভাবে লাইন কেটে দিয়েছে। প্রতিহত করায় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর