,

যে কারণে হাদিসে ভিক্ষাকে ‘জ্বলন্ত অঙ্গার’ বলা হয়েছে

সময় ডেস্ক : মানুষ যখন স্বল্প উপার্জন নিয়ে তুষ্ট থাকে, তখন আল্লাহ তার সম্পদে বরকত দান করেন এবং তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। কিন্তু যখন সে অল্পে তুষ্ট থাকতে পারে না, অত্যধিক লোভ-লালসায় জড়িয়ে পড়ে, তখন হালাল-হারাম বিবেচনা না করে সে উপার্জন করতে শুরু করে। তাই কখনো তাকে হারাম পথে আয়-রোজগার করতে হয়। আবার কখনো নিজেই অর্থলিপ্সায় পড়ে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করে।
অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) ভিক্ষাবৃত্তিকে দারুণভাবে অপছন্দ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সম্পদ বাড়ানোর জন্য মানুষের কাছে সম্পদ ভিক্ষা করে বেড়ায়। মুখ্যত সে জ্বলন্ত অঙ্গার ভিক্ষা করে। কাজেই এখন তার ভেবে দেখা উচিত, সে (আগুনের ফুলকি) বেশি নেবে না কম নেবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৮৯)
সমাজে দেখা যায়, কেউ কেউ সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও অভাবীর ছদ্মবেশ ধারণ করে, কোনো কোনো পেশাজীবী যথেষ্ট বেতন পাওয়া সত্ত্বেও টিপস, চা-বিস্কুট খাওয়া, বকশিশ, উপরি কামাইয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন অজুহাতে মানুষের কাছে হাত পাতে বা ভিক্ষা করে। এসব লোকের জন্যও উপরে উল্লিখিত কঠিন হুঁশিয়ারি প্রযোজ্য। যারা প্রাপ্ত সম্পদে তুষ্ট থাকতে পারে না, তারা কখনো আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে পারে না। ফলে তারা আল্লাহর অনুগ্রহ অবজ্ঞা করতে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তাহলে আমি আরো বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, (তাহলে জেনে রেখো) নিশ্চয় আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ১৭) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ (তাঁর বান্দাকে) স্বীয় ইচ্ছামতো নিয়ামত উপভোগ করতে দেন। কিন্তু বান্দা এর শুকরিয়া আদায় না করলে তিনি সেই নিয়ামত শাস্তিতে রূপান্তরিত করেন।’ (উদ্দাতুস সাবেরিন, পৃষ্ঠা-১২০)
সুতরাং অতি লোভ মানুষকে পাপ ও অকৃতজ্ঞতার দিকে ঠেলে দেয়। আর পাপ ও অকৃতজ্ঞতা আল্লাহর আজাবের দিকে নিয়ে যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর