,

নিশ্চিত করুন গর্ভকালীন পুষ্টি

সময় ডেস্ক : গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময় প্রসূতি নারীর খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব, অনেক ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়া ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পাঁচ মাস থেকে ভ্রূণের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য মায়ের খাবারটা হওয়া চাই সুষম। সঙ্গে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং পর্যাপ্ত পানি থাকা চাই। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে। মহিলাদের গর্ভের শেষের দুই মাস তাঁদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদার সঙ্গে অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ করতে হবে। এসব আমিষ উৎকৃষ্ট অর্থাৎ প্রাণিজ হওয়া বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি খাবারে যাতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডির অভাবে এ সময় ‘অস্টিওম্যালেসিয়াম’ নামের অস্থি বা হাড়ের রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া এ সময় আয়োডিনযুক্ত খাবার; যেমন : সামুদ্রিক মাছ গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে থাকা উচিত। কারণ আয়োডিন শিশুর বুদ্ধি বা মস্তিষ্কের বর্ধনের জন্য জরুরি।
নিয়মিত সুষম খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : গর্ভকালীন মায়েদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার একটু বেশিই খেতে হয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের ওপরও। এ সময় মা যদি নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হন, তবে নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন, তেমনি সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৯৫ শতাংশ। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিনই এসব শাক-সবজি খাওয়া উচিত। এগুলো ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। মা ও গর্ভের বাচ্চা সুস্থ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পালংশাক, লালশাক, লাউশাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা খেলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা। আঁশজাতীয় ফল ও শাক-সবজিকে বলা হয়ে থাকে অন্ত্র পরিষ্কারক। তবে যাঁদের রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি তাঁদের পালংশাক ও লালশাক কম খাওয়া উচিত। ফুলকপি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি মজাদার। কিডনির সমস্যা কমায় ফুলকপি। এ ছাড়া প্রচুর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন : মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল ও তেলবীজজাতীয় খাবার এ সময় বেশি খেতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর