,

বসন্তে নাক কান গলার সমস্যায়

সময় ডেস্ক : বসন্তকালে পরিবেশ রঙিন হয়ে ওঠে। শীতের রোগব্যাধিও এ সময় কমে আসে। কিন্তু নাক, কান ও গলায় কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন টনসিলের প্রদাহ, এডেনয়েড, অ্যালার্জিজনিত নাকের সর্দি ও পলিপ, সাইনাসের প্রদাহ, হঠাৎ নাক দিয়ে রক্তপাত। এসব ক্ষেত্রে যা করতে হবে-
টনসিলের প্রদাহ : টনসিলের প্রদাহের জন্য গলাব্যথা, জ্বর ও ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়। যদি ভাইরাসজনিত হয়, লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ও প্যারাসিটামল খেলে ভালো হয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেক সময় ঠান্ডা লেগে কণ্ঠনালিতে ইনফেকশন হতে পারে বা গলার স্বরে পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন ও মেন্থলের ভাপ নেওয়া যেতে পারে।
এডেনয়েড : শিশুদের নাকের পেছনে একধরনের টনসিল, থাকে যাকে এডেনয়েড বলে। এডেনয়েড বড় হয়ে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিশ্বাস নেওয়া যায় না। এডেনয়েডের কারণে শিশুদের মধ্যকর্ণে পানি জমতে পারে। তখন শিশু কম শুনতে পায়। এ ধরনের সমস্যায় নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অ্যালার্জিজনিত নাকের সর্দি ও পলিপ : কোনোরকমের অ্যালার্জেন, যেমন ধুলাবালু, গাড়ির ধোঁয়ায় নাকে অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ হতে পারে। এতে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। অ্যালার্জির কারণ থেকে দূরে থাকলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জি থাকলে পলিপ হতে পারে। এ সমস্যার চিকিৎসা অস্ত্রোপচার।
সাইনাসের প্রদাহ : নাকের দুই পাশের সাইনাসে প্রায়ই সংক্রমণ হয়, যাকে সাইনুসাইটিস বলে। এর জন্য নাকের দুপাশে ব্যথা ও মাথাব্যথা হতে পারে। তীব্র অবস্থায় ওষুধের মাধ্যমে সাইনাসের চিকিৎসা করা যায়। দীর্ঘমেয়াদি সাইনাস প্রদাহে ওয়াশ ও শেষ পর্যায়ে এন্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারি লাগতে পারে।
হঠাৎ নাকের রক্তপাত : বিভিন্ন কারণে ও অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। শিশুদের বেলায় সাধারণত আঙুল দিয়ে নাক খোঁচানোর কারণে রক্তপাত হতে পারে। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ একটি কারণ। নাকের ভেতরের রক্তনালি শুকিয়ে ছিঁড়ে গিয়েও হতে পারে রক্তপাত। এমন ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসক দেখানো উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর