,

কচুকে অবহেলা নয়..

সময় ডেস্ক ॥ নানান গুণের আধার কচুশাক শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে। যেমন হাড় ও দাঁত গঠন, রাতকানা, ছানিসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে কচুশাকের ভূমিকা অতুলনীয়। কচুশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ শাক দুই প্রকার: সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক। খাওয়ার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচুশাকে যথাক্রমে ১০২৭৮ ও ১২০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে। এ ক্যারোটিন থেকেই ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচুশাক থেকে ৩ দশমিক ৯ গ্রাম প্রোটিন, ৬ দশমিক ৮ গ্রাম শর্করা, ১ দশমিক ৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১০ মিলিগ্রাম লৌহ, শূন্য দশমিক ২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), শূন্য দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। সবুজ কচুশাকের চেয়ে কালো কচুশাক অনেক বেশি পুষ্টিকর। কচুশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে, পরিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.