সময় ডেস্ক ॥ দেশীয় তারকারা সীমান্ত পেরিয়ে অপার বাংলার ছবিতে অভিনয় করছেন। এরপর দেশে ফিরেই প্রচারণায় ব্যবহার করছেন এ দেশের সংবাদ মাধ্যমকে। তারা কাজ করতে গিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বৈষম্যর স্বীকার হচ্ছেন। কিন্তু তা লুকিয়ে নিজেদের বড় এবং ফোলাও করে বলে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু দিন শেষে যখন চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে তখন দেখা যায় আসলে অপার বাংলায় তারা কতোটা সুবিধা করতে পাচ্ছেন। আগামী ৬ ফেব্র“য়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে কলকাতার মহুয়া চক্রবতীর গ্লামার ছবিটি। ছবিটিতে বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রুহি অভিনয় করেছেন। রুহির কলকাতার ছবিতে অভিনয় করা নিয়ে দেশীয় মিডিয়া এতদিন ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এমনকি ছবির একটি গান সম্প্রতি মুক্তি পায় ইউটিউবে এটি নিয়েও আমাদের দেশের মিডিয়া বেশ সরব ছিল। খুব সূক্ষ্মভাবে দেখলে বোঝা যায় পুরো ভিডিও জুড়ে রুহিকে একটি মাত্র শর্তে দেখা মিলে। দেশীয় মিডিয়াতে রুহি গ্লামার ছবির নায়িকা বলে প্রচারিত হলেও কলকাতার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন আনন্দলোক ২৭ জানুয়ারি ২০১৫ইং সংখ্যায় গ্লামার এর খবর শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে অভিনয় শিল্পী হিসেবে অনেকের নাম উল্লেখ থাকলেও রুহির নাম ছিলনা। এদিকে যৌথ প্রযোজনার ছবি রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট। আনন্দলোক ২৭ জানুয়ারি ২০১৫ইং সংখ্যাতেই ভালো চেষ্টা রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট শিরোনামে একটি রিভিউ লেখা ছাপানো হয়। পুরো রিভিউ জুড়ে ছবির নায়ক অঙ্কুশের গুণকীর্তন করা হয়। অঙ্কুশ ভালো অভিনেতা তার গুণকীর্তন করা হতেই পারে। কিন্তু ছবিতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন ঢাকাই ছবির নাম্বার ওয়ান অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। রিভিউটিতে লেখা হয় মাহি নাকি নবাগত নায়িকা এবং তিনি অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। একটা দেশের নাম্বার ওয়ান নায়িকাকে অপার বাংলায় নবাগত বলে চালিয়ে দেয়াটা কতোটা যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দ বাজার এ মাহি-অঙ্কুশ দু’জনের একত্রে ইন্টার্ভিউ ছাপলেও পুরো ইন্টার্ভিউ অঙ্কুশকে হাইলাইটেড করেই করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এতো বৈষম্য পরেও এ দেশের তারকারা কেন অপার বাংলায় সস্তা ছবি করার জন্য দিনের পর দিন পড়ে থাকছেন। এইসকল মরীচিকার পিছনে না ছুটে দেশীয় ছবির কাজে ও নিজেদের অভিনয়ের প্রতি তাদের মনোযোগ দেয়ার সময় এসেছে বলেই বোদ্ধারা মনে করেন।
Leave a Reply