,

সকল মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে মাটি ও মানুষের কথা বলবে ‘দৈনিক হবিগঞ্জ সময়’

গত ১৫ই অক্টোবর ২০১৪ নব প্রকাশিত ‘দৈনিক হবিগঞ্জ সময়’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের গুনিজনদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে মুগ্ধ হলাম। একটি পত্রিকা প্রকাশনায় এত সহযোগীতার আশ্বাষ উপদেশ ও পরামর্শ পেলে পত্রিকাটি যে অতি দ্রুত অগ্রসর হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আজ সমাজের প্রতিটি উন্নয়ন মূলক কাজে যদি সর্বস্তরের মানুষ এভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিত তা হলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত। এখানে প্রত্যেকের শুভেচ্ছা বাণীতেই দল মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নিঃস্বার্থ ভাবে পত্রিকার উন্নতি কামনা করেছেন, যেমন পত্রিকার সাংবাদিক জাতির বিবেক, সংবাদপত্র জাতির দর্পন, তাদের লেখনি সত্যের পথে অবিচল থাকতে হবে। রাজনীতিতে গতিশীলতা আনতে সহ-যোগীতা থাকবে, ব্যক্তি-গোষ্ঠি রাজনীতির মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে হবিগঞ্জের মাটি ও মানুষের কথা বলবে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ভূমিকা রাখবে, অসাম্প্রদায়িক উন্নয়নশীল দেশ গঠনে অবদান রাখবে, সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার সর্ম্পকে সচেতন করতে হবে, সর্বোপরি সত্য প্রকাশে নির্ভিক ভূমিকা রাখবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ট ও সৃজনশীল সংবাদ পরিবেশনে সচেষ্ট থাকবে। বেশীর ভাগ বাণীতেই বস্তুনিষ্ট সংবাদের উপর জোর দিয়েছেন তবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রদান করার জন্য জনপ্রতিনীধি আর প্রশাসন কেউ কোন প্রকার আশ্বাষ দেন নাই। সেই বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করতে যেয়ে যদি কারও আত্মসম্মানে আঘাত লাগে আর এতে যদি আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক নির্যাতন, পত্রিকা অফিস ভাংচুর অগ্নী সংযোগ এবং পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা হামলার মত আক্রমন হতে হয় তখন উল্লেখিত বাণীর কোন যথার্থতা থাকে না। আমার একটাই পরামর্শ, সমাজে প্রতিষ্ঠিত বাণী প্রদানকারীগণ সংবাদের সত্যতা যাচাই সাপেক্ষ মূল্যায়ন করবেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পত্রিকাকে ব্যবহার করবেন না। এতে প্রবাবশালীদের কিছুই না হলেও পত্রিকা গ্রহন যোগ্যতা হারাবে। অপরদিকে সংবাদপত্রের গুনগতমান বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। লেখার মাঝে দক্ষতা ও পারদর্শিকতার পরিচয় দিতে হবে। জীবিত আর জর বস্তুর শাব্দিক অর্থ বিবেচনা করে শব্দ চয়ন করতে হবে, যেমন নবজাতক আর শিশু সংবাদপত্র প্রকাশনা আর জন্মের মধ্যে সমার্থক হিসাবে সংযোজন না করলে শ্রƒতি মধুর হতো। যোগ্য ব্যক্তির যোগ্যস্থানে উপস্থাপক আবশ্যকীয়। সব শেষে পত্রিকা প্রকাশনা লগ্নে যে ভাবে গুনিজন সারা জাগিয়েছেন তা সচল রাখতে যেন সেই সব গুনিজনের আন্তরিক সহযোগীতা অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশাই রইল। মোঃ আশরাফ উদ্দিন
সাংবাদিক, বাংলাদেশ টেলিভিশন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.