স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দিন দুপুরে ৩ অসহায় পরিবারের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে চুড়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। হামলা কারীদের আক্রমনে মতিন মিয়ার পুত্র সজিব মিয়া (২০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আহত ফরিদ মিয়া (১৮) ও সমাজ উদ্দিন (৫০)কে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের শিশু নারী পুরুষ সহ খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন উক্ত পরিবার বর্গের ২৩জন সদস্য। হামলাকারীরা গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হঠাৎ অর্তকিত হামলা করে এই তান্ডবলীলা চালায়। অসহায় হাওর রাখাল সমাজ উদ্দিন ও তার ভাই সুরমাই উদ্দিন স্থানীয় বান্দের বাজারের নৈশ্য প্রহরী এবং একই গ্রামের মজিদ উল্লার পুত্র রাজমিস্ত্রী (নির্মান শ্রমিক) এর ৩টি বাড়ি ঘরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের মৃত এলখাছ মিয়ার পুত্র দুবাই প্রবাসী তোফাজ্জুল হোসেন, মৃত উলফর উল্লার পুত্র গুলজার মিয়া ও তাদের লোকজন। সরেজমিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট নির্যাতিত সমাজ উদ্দিন সহ উল্লেখিত ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের মালিকাধীন মৌরসী সত্য জায়গায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গত প্রায় ২ ধরে ওই জায়গার প্রতি কু-নজর পড়ে একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন সহ প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের লোকদের। তারা বিভিন্ন ভাবে কৌশলে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা চালান। এ নিয়ে নির্যাতিত কফিল উদ্দিন প্রায় ২বছর পূর্বে আদালতেও মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলাকারীরা বাড়ি ঘর ভাংচুর, অগ্নী সংযোগ ও লোটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান কফিল উদ্দিন। এছাড়া নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার ও লোটপাটের অভিযোগ করেন রাজমিস্ত্রী কফিল উদ্দিন। এ ব্যাপারে দুবাই প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই জায়গাটুকুর আমরা খরিদা সূত্রে মালিক। তাই বারবার ওই জায়গা ত্যাগ করার কথা বললেও তারা জবর দখল না ছাড়ায় আমাদের ভূমি আমরা দখল মুক্ত করেছি। তবে, অগ্নী সংযোগ ও লোটপাটের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়িঁর ইনর্চাজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেহ নয়। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের কাছে কেহ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply