,

আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৪০টি দলেরই এক অবস্থা, তৃণমূলের রাজনীতিতে উপেক্ষিত নারী

সময় ডেস্ক ॥ তৃণমূলের রাজনীতিতে উপেক্ষিত নারী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সবগুলোরই এক অবস্থা। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা নেই বললেই চলে। অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রতিশ্র“তি দিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সব কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করবে। কিন্তু ২০০৮ সালে নিবন্ধন নেওয়ায় আজ ছয় বছরেও রাজনৈতিক দলগুলোতে এর দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। এ নিয়ে কোনো আগ্রহও নেই জাতীয় রাজনীতিতে। যদিও জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে গুটিকয়েক নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেতে দলে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার শর্ত মেনে নিলেও এর বাস্তবায়ন নেই ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে। নতুন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ২০০৮ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দলের সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার শর্তে নিবন্ধন নেয় এসব দল। অনেক দল এখন এ নিয়মের বিরোধিতাও করছে। অথচ এ নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। একই অবস্থা, ডান, বাম ও অন্য দলগুলোতে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন প্রতিদিনকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই প্রতিশ্র“তি দিয়েছে। এখন তারা যদি নিজেরাই আইন ভঙ্গ করে তাহলে খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনেরও উচিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ব্যাপারে মনে করিয়ে দেওয়া। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কমিশন। নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর বলেন, ‘রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে, দলগুলো বারবার সময় নিচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে ইসির একটি রোডম্যাপ থাকা উচিত। সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ ২০২০ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদসহ দলের সব স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকার ঘোষণা দিলেও কার্যকর উদ্যোগ নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে নারী প্রতিনিধির প্রাধান্য থাকলেও পিছিয়ে তৃণমূলে। দলের গঠনতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সবখানে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও বরাবরই তৃণমূলে উপেক্ষিত থাকছে নারী নেতৃত্ব। ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভানেত্রী ছাড়াও তিনজন প্রেসিডিয়াম, তিনজন সম্পাদকমণ্ডলী ও দুজন সদস্যসহ মোট নয়জন নারী থাকলেও জেলা-উপজেলা কমিটিতে খুবই কম। এতে করে ২০২০ সালের মধ্যে দলের ঘোষণা ও ইসির সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশয় দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলন শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৪টি জেলা সম্মেলন হলেও একটিতেও শীর্ষ পদে নারী নেতৃত্ব আসেনি। বিগত দিনের কমিটিতেও কোনো কোনো জেলায় মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছাড়া নারী নেই বললেই চলে। অথচ বেশ কয়েকটি জেলায় অনেক যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন নারী ছিলেন। তবে আসন্ন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নারীনেত্রী জান্নাত আরা তালুকদার হেনরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও নিয়মাবলির সদস্যপদ-এর (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘…২০২০ সালের মধ্যে ক্রমান্বয়ে পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদসহ দলের সকল স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে। নারী-পুরুষের সমতা আনিবার লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান হারে এই অনুপাত বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকিবে।’ শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা কাজ করে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তাই ভবিষ্যতে দলে নারী সদস্যদের সব ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ দলের আরেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলের মধ্য থেকেই নারীদের নেতৃত্বে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। তাদের মধ্যে যে সংকোচ কাজ করে, তা দূর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।’ নিজেদের সংকোচ, পারিবারিক অনাগ্রহসহ নানা কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা কমিটিতে নারীরা শীর্ষ পদ পাচ্ছেন না। তবে যারা সংকোচ দূর করে উৎসাহ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা শীর্ষ পদে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা জেলার সাভার ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীনেত্রীরা সভানেত্রীর পদে আসীন হয়েছেন। ২৬ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাভার থানা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়েছেন হাসিনা দৌলা। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পদে আরেক নারী মতি শিউলী সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। জানতে চাইলে উলিপুর থানা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মতি শিউলী এ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কেন্দ্রের পাশাপাশি তৃণমূলেও অনেক দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন নারী রয়েছেন। তারাও নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে এ জন্য প্রথমত, নিজের দৃঢ়তা, নেতৃত্বের গুণাবলি ও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব বেরিয়ে আসতে পারে সে জন্য জেলা-উপজেলা সম্মেলনের সময় কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকা দরকার।’ বিএনপি, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ৩৮৬ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে বেগম সরোয়ারী রহমানই একমাত্র নারী। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে একজনও নারী প্রতিনিধি নেই। ১৮ সদস্যের ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া চৌধুরী ও সেলিমা রহমান রয়েছেন। যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক কিংবা আন্তর্জাতিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও কোনো নারী প্রতিনিধি নেই। ১২১ সদস্যের কর্মকর্তার মধ্যে মহিলাবিষয়ক সম্পাদক খালেদা রব্বানী, শিশুবিষয়ক সম্পাদক বেগম রোজী কবীর, উপজাতিবিষয়ক সম্পাদক মিসেস ম্যা ম্যা চিং, সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা ও শিরিন সুলতানা প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২৬৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে গুটিকয় নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। কিন্তু বিএনপির ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে শুধু জেলা পর্যায়ে সভাপতি হিসেবে কুমিল্লা দক্ষিণে রাবেয়া চৌধুরী ও মানিকগঞ্জে আফরোজা খানম রীতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়েও কোনো নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। বিএনপির গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২০ সালের মধ্যে সকল কমিটিতে মহিলা সদস্যসংখ্যা শতকরা ৩৩ ভাগে উন্নীত করতে হবে।’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নারীবান্ধব রাজনৈতিক দল নয়। তবে দলটি নারী উন্নয়নবান্ধব। দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীদের অবস্থা ভালো নয়। ১৭ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে মাত্র তিনজন নারী। এর মধ্যে একজন রাজিয়া ফয়েজ মারা গেছেন। যুগ্ম-মহাসচিব সাতজনের মধ্যে কোনো নারী নেই। অর্থাৎ এসব স্তরে নারীর সংখ্যা ৭ দশমিক ৭ ভাগের নিচে। একইভাবে ২৬৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির মধ্যে মাত্র ৩১ জন নারী।’ বিএনপির সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, ‘দল, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু নারী হওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন না নারীরা। নিবন্ধন নেওয়ার ছয় বছরেও রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কমিটিতে ১০ নারী নিশ্চিত করতে পারেনি। এটি থেকে জাতীয় রাজনীতিবিদদের বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ সমাজ বিনির্মাণে কোনো অংশে নারীর অবদান কম নেই।’ জাতীয় পার্টি , বর্তমানে জাতীয় পার্টির ৪০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সাতজনই নারী। বর্তমান সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ। এ ছাড়া সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সালমা ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান রতœা আমিন হাওলাদার। এ ছাড়া সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে আছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাহজাবিন মোরশেদ, মেরিনা রহমান, অধ্যাপিকা রওশন আরা মান্নান, খুরশিদা হক ও সাহানা বেগম। জাতীয় পাটির্র ৪২ সদস্যের প্রেসিডিয়ামে নারী সদস্য রয়েছেন চারজন। পার্টির চেয়ারম্যানের ১৭ সদস্যের উপদেষ্টার মধ্যে কোনো নারী নেই। ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব ও সম্পাদকমণ্ডলীতে উল্লেখযোগ্য নারী নেতৃত্ব নেই। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সারা দেশে ৮৪টি সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে রওশন এরশাদ, মাহজাবিন মোরশেদ, সালমা ইসলাম ছাড়া আর কোনো নারী নেতৃত্ব নেই বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের একজন নারী সদস্য বলেন, ‘৪২ সদস্যের প্রেসিডিয়ামে নারী মাত্র চারজন। অন্য পদগুলোতে নারীর উপস্থিতি খুবই কম।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে নারীদের অনেক অবদান রয়েছে। কিন্তু কেন জানি এখন নারীরা নেতৃত্বে আর আসছেন না।’ জামায়াতে ইসলামী, সর্ববৃহৎ ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ২০ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে নেই কোনো নারী সদস্য। তৃণমূলেও এক অবস্থা। ৫৭ সদস্যের কর্মপরিষদেও কোনো নারী সদস্য নেই। নারী সদস্যদের জন্য পৃথক মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদ থাকলেও সাধারণ মজলিশে শূরায় একই অবস্থা। এমনকি জামায়াতের মহিলা বিভাগের প্রধানের পদবিও সভানেত্রী নয়। দলটির মহানগরে মহিলাদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকলেও মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটিতে নেই কোনো নারী সদস্য। জামায়াত সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দলটির এক মজলিশে শূরা সদস্য বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও ইসলামে বিশ্বাসী। ইসলাম যতটুকু অধিকার দিয়েছে, নারীকে তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।’ জামায়াতের পৃথক মহিলা বিভাগ থাকলেও অন্যান্য কমিটিতে নারী সদস্য না থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইসলাম যতটুকু অনুমতি দিয়েছে, ততটুকু মেনেই চলতে হবে।’ ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২০ এখনো অনেক দেরি। নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা দিয়ে যেমন আইন হয়েছিল, তেমন করে তা বদলও হতে পারে। কিন্তু ইসলামের বদল সম্ভব নয়। তাই ইসলামের সীমারেখার মধ্যেই থাকতে হবে। এ ছাড়া ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতেও নারী নেতৃত্ব নেই।’ এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকেই এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। আইনকানুন মানার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আগ্রহ নেই। প্রয়োজনে কমিশন আইনেরও দ্বারস্থ হতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর