,

বিজিবির নায়েক রাজ্জাকের কী হবে? বাবা হওয়ার খবর জেনেছেন রাজ্জাক

সময় ডেস্ক ॥ এখনও বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেয়া হয়নি। পার হয়ে গেছে আরো একটি দিন। অথচ তাকে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যে প্রক্রিয়ায় এটি করা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়া বিধিসম্মত নয়। নায়েক রাজ্জাক তো রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল একজন মানুষ। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত, পোষাকধারী একজন সদস্য। তাকে কেন বলা নেই, কওয়া নেই, এভাবে নিয়ে যাবে বিজিপি। সে কী অপরাধী? কোন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে? অনেকে চেষ্টা করছেন বলতে, রাজ্জাক হয়তো অবৈধ পাচার বা কিছুর সঙ্গে জড়িত! হয়তো অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে! কিন্তু মনে রাখতে হবে, ‘হয়তো’র সুযোগ খুব কম আইনে। যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটে, তা বড় উৎকণ্ঠার। বিজিপির ওয়েবসাইটে রাজ্জাকের নাকে রক্ত, হাতকড়া পরিয়ে ছবি প্রচার করা হয়েছে। যা রীতিমত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, অন্যকিছু নয়। রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে, তা কেবল ‘অভিযোগ’ বললে হবে না। তথ্য, প্রমাণসহ বলতে হবে, রাজ্জাকের দোষ কী? আর দোষ থাকলেও এভাবে রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যেতে পারে না বিজিপি। রাজ্জাককে এভাবে নিয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্র উৎকণ্ঠাবোধ করছে। সরকারও তৎপর ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু কতখানি তৎপর, উৎকণ্ঠা কতখানি, সেটাও বিবেচনার বিষয়। কেন এখনও আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ তোলপাড় করছে না? কেন সরকার প্রয়োজনে জাতিসংঘকে যুক্ত করছে না রাজ্জাককে ফিরে পেতে? নাকি রাজ্জাক খুব সাধারন একজন বিজিবি সদস্য, রাজ্জাকের যাওয়া বা আসায় কারো কোন কিছু যায় আসে না, এমনটি নয় তো! লেখক অধ্যাপক আমেনা মোহসিন। বাবা হওয়ার খবর জেনেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাক। গত রোববার (২১ জুন) মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ’র (বিজিপি) হাতে অপহৃত বিজিবি নায়েক রাজ্জাকের স্ত্রী পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সোমবার (২২ জুন) বাংলাদেশের বিজিবির মাধ্যমে মায়ানমারের বিজিপি রাজ্জাককে এ খবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। রাজ্জাকের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বলিয়াবাড়ি গ্রামে। রোববার স্ত্রী আসমা বেগমের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। কিন্তু বাবা বিজিবি সদস্য মায়ানমারের কারাগারে বন্দি। তাই সন্তান হওয়ার পরও আনন্দ নেই মা আসমার। নতুন অতিথি এলেও পরিবারটি রয়েছে বেদনায়।


     এই বিভাগের আরো খবর