,

শুধুই মৌসুমী

সময় ডেস্ক ॥ সিনিয়র-জুনিয়র অনেক নায়িকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত এখন শুধুই মৌসুমী। চলচ্চিত্রে অভিনয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা, বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল, টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরব উপস্থিতি ইত্যাদি সব মিলিয়েই এখনও ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে বিদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো আছেই। এবারের ঈদেও কাতারের রাজধানী দোহায় অংশগ্রহণ করলেন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সঙ্গে ছিলেন সফল পর্দাজুটি ওমর সানি। ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যেও মৌসুমীকে দেখা গেছে সপ্রতিভ রূপে। যখন তার সমসাময়িক নায়িকা শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, সিমলা থেকে শুরু করে এখনকার মাহি, ববি, অপু, আঁচল, নিপুণ, নতুন নতুন নায়িকারা লম্বা ছুটি কাটাতে ব্যস্ত ঠিক তখনও মৌসুমী আছেন কখনও ক্যামেরার সামনে কখনও ক্যামেরার পেছনে। এখনও সবচেয়ে বেশি ছবি মৌসুমীর হাতে। মন জানে না মনের ঠিকানা, শূন্য হৃদয়, ভালবাসবে তো, লিডার, সৌভাগ্য, লীলামন্থন, প্রেমী ও প্রেমী, ভাল লাগার চেয়েও একটু বেশি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। পাশাপাশি শূন্য হৃদয় ও ভালোবাসবে তো ছবি দু’টি শেষ করার দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করছেন পরিচালক হিসেবে। দীর্ঘ ২২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েও মৌসুমী আজও আছেন স্বমহিমায়। শুধু চলচ্চিত্রই নয়, বিজ্ঞাপন চিত্রের মডেল, ভালমানের পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তার কদর বাড়ছে। ছোট পর্দার চলচ্চিত্রবিষয়ক আড্ডায় মৌসুমী থাকেন পর্দা জুড়ে। পুত্র ফারদিন এহসান স্বাধীনকে পরিচালক হিসেবে তুলে ধরে একজন মা হিসেবেও তিনি সার্থক। ফারদিনের পরিচালনায় প্রথম টেলিমুভি ডেস্টিনেশন দেখে মৌসুমী গর্বিত। নিজের পরিচালিত ছবিতে নিজের অভিনীত দৃশ্য নির্দেশনার দায়িত্ব পুত্র ফারদিনের হাতে তুলে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত। অভিনেতা স্বামী ওমর সানি, পরিচালক পুত্র ফারদিন এবং বড় সমালোচক কন্যা ফাইজাকে নিয়ে মৌসুমীর সাজানো গোছানো সংসার। দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে দুইবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেই সঙ্গে অগণিত ভক্তের ভালবাসায় মৌসুমী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করছেন সম্মানের সঙ্গে। মৌসুমী বলেন, সব কিছুই মহান আল্লাহর রহমত, আমার বাবা-মায়ের দোয়া, প্রযোজক পরিচালকদের বিশ্বাস, দর্শকদের ভালবাসা এবং ওমর সানির অনুপ্রেরণায় সফল। আমি একা মৌসুমী কিছুই না। সবাই আমার সঙ্গে আছেন বলেই আমি আছি। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ মৌসুমীর আজকের মৌসুমী হয়ে ওঠার পেছনে সাংবাদিক সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমি সবসময় এসব স্বীকার করি। কারণ, কারো অবদান অস্বীকার করা মানেই হচ্ছে নিজের শিল্প সত্তাকে অস্বীকার করা। মানুষ হিসেবে নিজেকে নিজের কাছে ছোট করা। আমার বাবা-মায়ের প্রধান শিক্ষা ছিল এটি যে, কাউকেই কখনও অসম্মান করবে না, কারও অবদান অস্বীকার করবে না। আমি শুরু থেকেই এটা মেনে চলছি। যতদিন বেঁচে থাকবো মেনে চলবো। কারণ, একজন মানুষ মৌসুমীর মধ্যে বাস করে শিল্পী মৌসুমী। শিল্পী সত্তাকে সমৃদ্ধ করার জন্য মানুষ হওয়াটা জরুরি।


     এই বিভাগের আরো খবর