,

যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ সদর সমিতির বনভোজন হয়ে উঠেছিল প্রবাসীদের এক মিলন মেলা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ সদর সমিতির বনভোজন হয়ে উঠেছিল সত্যিকার অর্থেই প্রবাসীদের এক মিলন মেলা। প্রবাসে হবিগঞ্জবাসীর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এই মিলন মেলাকে এক বাক্যে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন সবাই। মূহুর্মূহু করতালি ও উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের হর্র্ষধ্বনির মধ্যে অতিথিরা সদর সমিতির এ জাতীয় মিলন মেলায় বছর বছর ফিরে আসার ঘোষণা দেন। প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জের এত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর সাথে মিলিত হতে পেরে আমি অভিভূত। সদর সমিতির প্রতি প্রবাসী হবিগঞ্জবাসীর সমর্থন অব্যাহত থাকলে আমি কথা দিচ্ছি প্রতি বছর শত ব্যস্ততার মাঝেও একটি দিন আপনাদের সাথে কাটাবো। বিশেষ অতিথি এমপি আব্দুল মজিদ খান বলেন, প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের মাঝেও এত বিপুল সংখ্যক হবিগঞ্জবাসীকে একত্রিত করতে পারার জন্য আমি সদর সমিতির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ বলেন, যদি জানতাম আপনারা এত বড় সমাবেশ করবেন, তাহলে সব উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে আসতাম। গেস্ট অফ অনার এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, আমি হবিগঞ্জী হিসেবে গর্ববোধ করি এবং আপনাদের সাথে থাকতে চাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, জালালাবাদ সোসাইটির সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সকু চৌধুরী। গত ২৩ আগস্ট নিউইয়র্কের ফ্ল্যাশিং ম্যাডো করুনা পার্কে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মিলন মেলায় নারী পুরুষ শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সকল বয়সের মানুষের জন্য ছিল নানা ধরণের খেলাধূলার আয়োজন। আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র নিয়ে ছিল দর্শক স্রোতাদের ব্যাপক আগ্রহ। বনভোজন কমিটির আহবায়ক আজদু মিয়া তালুকাদেরর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। তাকে সহায়তা করেন আছকির মিয়া ও সাংবাদিক সেলিম আজাদ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াছি চৌধুরী, মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া, নাসরিন কে আহমেদ, এটর্নী ফেরদৌসী জে চৌধুরী। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শহীদুল হক আবদাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোজাহিদ আনসারী। বনভোজন ও মিলন মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হাসান। সার্বিক সহায়তায় ছিলেন আব্দুল রউফ ভূইয়া, আলমগীর মিয়া, জাহেদুল মুহিত খান, আবু সাইদ চৌধুরী কুটি, শাহ মুশফিকুর রহমান পাপ্পু, বিষ্ণুপদ সরকার, মোস্তফা কামাল সংগ্রাম, বদরুল আলম শাহীন, কাউসার সমীর, সৈয়দ আবদাল হোসেন, ফয়সল সুমন, মঞ্জু চৌধুরী, রাসেল কবির, মিনহাজ শরীফ রাসেল, স্বাপন আকবর, মাহমদুল হাসান, মোশারফ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মোঃ আব্দুল হান্নান, হাসান চৌধুরী, ফরহাদ তালুকদার, তোফায়েল লিটন, সুফি আহমেদ ও হাসেনা চৌধুরী সুমায়রা।
বনভোজনে উপস্থিত হবিগঞ্জের বিশিষ্ট প্রবাসীদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল লতিফ দরবেশ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, জকি উদ্দিন চৌধুরী, বাছিদ খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, মোবশ্বর আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল হাই মিয়া, মাওলানা ইছাক মিয়া, বিষ্ণু সেন, নাজমুল হাসান কোবাদ, মিজানুর রহমান সেফাজ, শাফি উদ্দিন তালুকদার, ফরিদ আহমেদ, জহুর আলী, জামাল হোসেন, এমদাদ হোসেন, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, রেজাউল আজাদ ভূইয়া, মতিউর রহমান, মোঃ মজুমদার, গাজী মাহমুদ, সুকান্ত দত্ত, সাদিকুর রহমান, মোঃ আলী বার ভূইয়া পারভেজ, আব্দুস সালাম, আব্দুল কাইয়ুম, সাদেকুর রহমান, শাকিল মাহমুদ খান, প্রফেসর আব্দুর রহমান, সাইফুল ইসলাম নাদিম, শুভ আহমেদ, আশিকুর রহমান, জুয়েল চৌধুরী, লাভলু আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, রুকন হাজী, সুকান্ত রায়, ফাহিম চৌধুরী, দীপু চৌধুরী, গুলজার খান, কেরামত আলী, ইমরান হোসেন, সৈয়দ রশিদ মুন্না, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ মুছা, কাজী মাহমুদ, বশির, লিটন, রুমান প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর