,

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে আ’লীগ, বিএনপি ও ইসি

সময় ডেস্ক ॥ স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হলে মনোনয়ন নিয়ে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এটা বন্ধ করাই রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচনের ফলে তৃণমূল পর্যায়েও কালো টাকার ছড়াছড়ি বাড়বে। ‘নন পলিটিক্যাল’ ভালো মানুষেরও নির্বাচনে আসার সম্ভাবনাও কমে যাবে। নির্বাচন কমিশনকেও পক্ষপাতমুক্ত থাকতে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পৃথিবীর অনেক দেশেই হচ্ছে। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার দিকে নজর দিতে হবে। ক্ষমতাসীন দলকেও ক্ষমতার মেয়াদের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দিতে হবে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব তৈরি হওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা অনুপস্থিত। নির্বাচনে নতুন করে মনোনয়ন বাণিজ্য হতে পারে। এই নেতিবাচক দিকগুলো একেবারে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটা গণতন্ত্রের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল রাজনীতির পালে হাওয়া বইছে। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন ও মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বড় দলগুলোর মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রথমবারের মতো প্রভাবমুক্ত থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অগ্নিপরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের কলঙ্কমুক্ত করার চ্যালেঞ্জেও ইসি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নতুন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে আওয়ামী লীগকে। এ কারণে অগোছালো মাঠ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দলের নীতিনির্ধারকরা। মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাদ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ঝোঁকও বিপদের কারণ হতে পারে দলটির। অন্যদিকে মামলার পাহাড়ে থাকা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সামনেও কঠিন পরীক্ষা। একইভাবে মাঠপর্যায়ে ‘অগোছালো সংগঠন’ নিয়েও দুশ্চিন্তায় দলের হাইকমান্ড। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে গেছেন। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচন মোটামুটিভাবে সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকার অনুরোধ দলের নেতা-কর্মীদের। নির্বাচন বিশ্লেষকদের ধারনা স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হলে মনোনয়ন নিয়ে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। টাকার খেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। অরাজনৈতিক ভালো মানুষেরও নির্বাচনে নিরুৎসাহিত হবে। এ নির্বাচনেও দলীয়ভাবে টাকার ছড়াছড়ি বাড়বে। এটা শুধু অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়বে।


     এই বিভাগের আরো খবর