,

সিলেটে বোমা হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হলো নাস

ময় ডেস্ক \
সিলেটে যার নেতৃত্বে বোমা হামলা হয়েছিলো সেই ব্যক্তি মৌলভীবাজারে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তবে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তার সঙ্গে আর কে ছিলেন? তারা ধারণা করছেন ওই ব্যক্তি একা সিলেটে বোমা হামলার ঘটনা ঘটাননি। তার সঙ্গে আরও কেউ থাকতে পারে। আর সেই ব্যাপারেও তারা এখন তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে। হামলাকারীদের একজন নিহত হওয়ার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট মনে করছে, মূল হামলাকারী নিহত হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে বিচার হয়েছে। যদিও হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু তা করতে পারেনি। মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা মনে করি পুলিশের তিনজন এবং চারজন সাধারণ নাগরিকের হত্যাকান্ডের জন্যে যারা দায়ী, তাদের তাৎক্ষণিক বিচার হয়তো প্রাকৃতিকভাবেই হয়ে গেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো। সেটি আমরা পারিনি। তবে আমরা মনে করি এই অভিযানটি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সিলেটে যার নেতৃত্বে হামলা হয়েছিলো সেই ব্যক্তিই যে এখানে নিহত হয়েছে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। ঘটনাটা তার নেতৃত্বে হয়েছে। সেই ঘটিয়েছে। তার সাথে অন্য কেউ থাকতে পারে। তারা আরও নিশ্চিত হয়েছেন, সিলেটে হামলা করার পর হামলাকারী আবার মৌলভীবাজারে ফেরত এসেছে। মনিরুল বলেছেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখেছি যে হামলাকারী ওখান থেকে আবার এখানে ফেরত আসতে পেরেছে। সেই কারণে পুলিশ ধরে নিয়েছিলো যে এখানে শক্তিশালী বোমাসহ বেশকিছু বিস্ফোরক এবং এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একজন জঙ্গিও এখানে অবস্থান করছে। আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম এই বাড়িতে তিনজন অবস্থান করছে। দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। এখান থেকে সিলেটে গিয়ে যে হামলা চালিয়েছিলো এই বাড়িতে তার উপস্থিতিও আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম। মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটো বাড়িকে ঘিরে বুধবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিলেটে আতিয়া মহলের কাছে যেসব জঙ্গি বোমা হামলা চালিয়ে ছিলো তারাই মৌলভীবাজার শহরে এসে বড়হাটের বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বলে পুলিশ বলছে। দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালেই এই হামলা চালানো হয়েছিলো যাতে মোট সাতজন নিহত হয়। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ এবং একজন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান। পুলিশ জানিয়েছে, যে জায়গাটিকে তারা ঘিরে রেখেছিলো সেখানে একাধিক ভবন, এমনকি নির্মাণাধীন ভবনও রয়েছে। তার ভেতরে আছে অনেক কক্ষ। বিভিন্ন স্থানে তারা বিস্ফোরকে পেতে রেখেছিলো। একারণে পুলিশের এই অপারেশনটি ছিলো জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। অভিযান শুরুর প্রথম দিনই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন নারী বাড়ির ছাদে উঠে দুটো গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তার একটি বিস্ফোরিত হয়েছিলো। তার একটি এখনও অবিস্ফোরিত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তরফ থেকে বলা হয়, ভবনের ভেতর থেকে আগুনের ধোঁয়া উঠতে দেখে তাদের ধারণা হয় যে ভেতরে আগুন লেগে গেছে। ভেতরে অবস্থানরত জঙ্গিরা আর বেঁচে নেই এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই তারা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ঘরের ভেতরে যে আগুন লেগেছিলো সেটা তারা দেখতে পান। তখন তারা দেখেন যে বাড়ির ভেতরে মোট তিনটি মৃতদেহ পড়ে আছে। তাদের দর একজন সিলেটে বোমা হামলা চালিয়েছিলো। আর নিহত অন্য পুরুষটিও সিলেটের হামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে। অন্য কেউও থাকতে পারে। সেটি আমাদের জানা নেই।


     এই বিভাগের আরো খবর