,

বানিয়াচংয়ে ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রয়ের ডিলার বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমান ও তার দুই সহযোগী ১নং বানিয়াচং উত্তর-পূর্ব ইউপির মেম্বার মিজানুর রহমান এবং মখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে কার্ডধারীদের স্বাক্ষর নিয়ে চাল না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সিনহা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হোসাইনকে আহবায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি দীপক চন্দ, ফুড ইন্সপেক্টর সুশীতল দাস ও উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (১নং বনিয়াচং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু হাসেম। উল্লেখ্য, গত বুধবার বড়বাজারে যুবলীগ নেতা সাহিবুর ও তার দুই সহযোগী ইউপি মেম্বার মিজান এবং মখলিছ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ডধারীদের রোষানলে পড়লে খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। এসময় বিক্ষুুব্ধ কার্ডধারীরা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হোসাইনের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ডিলার সাহিবুর ও দুই ইউপি মেম্বার মিজান এবং মখলিছ কয়েকবার চাল না আসার মিথ্যাচার করে অগ্রীম স্বাক্ষর না দিলে চাল আসবেনা বলে স্বাক্ষর নিয়ে কালোবজারে চাল বিক্রি করে দিয়েছে। পরদিন এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ইউএনও ঘটনা তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অন্যদিকে গত ৩০ এপ্রিল কয়েকজন কার্ডধারী যুবলীগ নেতা সাহিবুরের ডিলারশীপ বাতিল ও তার সহযেগী দুই ইউপি মেম্বার মিজান এবং মখলিছের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে ইউএনও বরাবরে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর