,

৫০ হাজার লোকের চলাচলের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ সাঁকোই একমাত্র ভরসা দুই জেলার ২০/২৫টি গ্রামের ৫০ হাজার লোকের। নদী পারাপারে এমন ঝুঁকিপুর্ণ বাহন তাদের কয়েক যুগ যাবত। দীর্ঘ দিন যাবত এমন অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সেতুর অভাবে দুই জেলার সীমান্তবর্তী প্রায় ৩০ টি গ্রামের মানুষের এমন বেহাল অবস্থা। এলাকার লোকজন তাদের এমন করুন কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর থেকে দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করছেন প্রায় কয়েক যুগ যাবত। যাদের কাছে যাচ্ছেন তারা শুধুই শান্তনা ও প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না । ওই দুর্ভোগ এলাকা হচ্ছে মৌলভী বাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের পার্শ্বে ঘেষে গেছে এক কালের ঐতিহ্যবাহী বরাক নদী (বর্তমানে মরা গাং) নদীর ওপারে অবস্থিত হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন। এলাকার প্রবীন মুরব্বিদের কাছ থেকে জানা গেছে- পুর্ব থেকেই নদীর অর্ধেক হবিগঞ্জ জেলার। আর অর্ধেক মৌলভী বাজার জেলার। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে-কয়েক শতাধিক বাঁশ ক্রয় করে সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুকি নিয়ে মৌলভী বাজার জেলার ও হবিগঞ্জ জেলার লোকজন চলাচল করছেন। ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন মৌলভীবাজার জেলার এবং নদীর তীরবর্তী কেশবচর, সাঠিয়া, হলিমপুর, কাটারাই, গোড়ারাই, চানপুর, লামুয়া, খলিলপুর, সাধুহাটি, কাঞ্চনপুর, এবং হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা নোয়াহাটি, ফরিদপুর, ধর্মনগর, আলমপুর, নাজিমপুর, বকশিপুর, মুকিমপুর, মিছকিনপুর, ফরাসতপুর গ্রামসহ প্রায় উভয় জেলার ২০/২৫টি গ্রামের বাসিন্দারা যুগের পর যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুর অভাবে শিক্ষা, ব্যবসা, বানিজ্য, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য, দিক দিয়ে অধিকাংশেই পিছিয়ে রয়েছে উভয় জেলার প্রায় ৫০ হাজার লোক। ওই নদী নিয়ে এলাকাবাসী সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান, সাবেক সমাজ কল্যান মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসিন আলীর কাছে নদীর ওপর ব্রীজ নির্মানের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সময়ে সেতুর প্রয়োজনীয়তা যাছাই-বাছাই করতে সরজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন। এমনকি গেল বছর দুই জেলার দুই সংসদ সদস্য হবিগঞ্জ ১ আসনের (নবীগঞ্জ-বাহুবল) এর সংসদ সদস্য এমএ মুনম চৌধুরী বাবু, ও মৌলভীবাজার ৩ আসনের (সদর-রাজনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিনকে অতিথি করে উভয় জেলার বাসিন্দাদের উদ্যোগে বিশাল সভা করা হয়েছিল। তারা উভই আশ্বস্থ করেছিলেন সেতুটি নির্মানের। তাদের প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নের প্রত্যাশার অপেক্ষায় এখন রয়েছেন এলাকার লোকজন। ওই সেতুটি নির্মান হলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাগব হতো আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, দি লিটল ফাওয়ার্স স্কুল, সৈয়দপুর বাজার ফাজিল মাদরাসা, আউশকান্দি ইয়াকুবিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা, শিক্ষার্থীসহ আউশকান্দি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্যাংক, বীমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্টানের সেবা গ্রহিতাদের। এলাকার সালেহ আহমেদ, ফয়েজ আহমেদ জুয়েল, ছালিক মিয়া, আব্দুল হাকিম, জানান, সেতু না হওয়ায় দুই জেলার প্রায় ৫০ হাজার লোকজন বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সচেতন মহল মনে করেন দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাগবে দুই জেলার লোকদের কথা বিবেচনা করে সেতু নির্মান অতি জরুরি।


     এই বিভাগের আরো খবর