,

স্কুলে ঢুকে ফরিদাকে লাটি পেঠা এলাকায় ক্ষোভ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ ফরিদা আক্তার (৩৫)। তিনি গাজীপুর ইউনিয়নের চন্দ্র মল্লিকা স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী। দিনান্তে তার পান্তা পুরোয়। বেসরকারী ওই স্কুলের প্রদেয় সামান্য বেতন দিয়েই চলে তার ৪ জনের সংসার। গত বৃহস্পতিবার যথারীতি তিনি স্কুলে আসেন। সকালে অফিসের কাজ করছিলেন তিনি। সকাল প্রায় ১১টায় চেচা-মেচি শুনে তিনি বাইরে এসে দেখেন চঞ্চল নামের এক যুবক তার ভাই ফারুককে মার-ধোর করছে। ফরিদা এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় আহাদ মিয়া জমাদারের পুত্র চঞ্চল লাটি দিয়ে ফরিদার মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আত্মীয়রা সাথে সাথে ফরিদাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। এখানে অবস্থার অবনতি হলে আহত ফরিদাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথায় ১৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে তার। তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন এখন। ফরিদার স্বামীর নাম পারভেজ মিয়া। তিনি দিন মজুর। তার বাড়ি আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাবপুর গ্রামে। এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে হতবাক চন্দ্র মল্লিকা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবক। সবাই এর বিচার দাবী করছেন। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী কাজল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এ ঘটনায় তারা মর্মাহত। এর সুষ্টু বিচার তারা করবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর