,

ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জের দর্জি দোকানগুলো সরগরম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানি খুশি, তাই ঈদের আনন্দে নতুন জামা কাপড় থাকবে না তাকি হয়..? তাইতো ঈদের ১০/১২ দিন আগ থেকেই দর্জি দোকান গুলো সরগরম হয়ে উঠেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা সদরসহ ১৩টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের বাজারে দর্জির দোকান গুলোতে মেশিনের শব্দ যেন জানান দিচ্ছে ঈদ এস গেছে। ঈদের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত চলবে তাদের ব্যস্ততা। পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই নতুন জামা কাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে নবীগঞ্জের দর্জিরা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ১ দিন বাকি আর এখন দর্জিদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই, কেননা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে। পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভীড় করছেন সৌখিন ক্রেতারা। রোজার প্রথমে কাজ একটু কম হলেও প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত দিন চলছে সেলাইয়ের কাজ। দর্জি কারিগরদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এ যেন ঈদ উৎসবের পালে ঝড়ো হাওয়া। সবাই যে যার দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত কেউ বোতাম লাগানো, বোতামের ঘর সেলাই করা, নির্দিষ্ট লোক জনের কাপড় কাটায় ব্যস্ত দর্জি মাষ্টার, কারও গলায় ফিতা, হাতে কাঁচি, কেউ সেলাই করছে, পাশেই জমা হচ্ছে তৈরি পোশাকের স্তুপ, দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। কোন অপ্রয়োজনীয় কথা নেই করো মুখে শুধু কাজ আর কাজ। শুক্ষ্মভাবে কাস্টমারের মাপ অনুযায়ী সেলোয়ার, কামিজ, শার্ট, প্যান্ট ভাল ভাবে সময় মত কাপড় সেলাই করে বিতরণ করার জন্য বিরামহীন ভাবে কাজ করছে প্রধান কাটিং মাষ্টার ও তার সহকারীরা, এমনটাই দেখা যায় বিভিন্ন দর্জির দোকানে। এছাড়াও কিছু কিছু দোকানে রমজানের আগ থেকেই শুরু হওয়া এই ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলছিল। এ যেন পাল তোলা নৌকায় জড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া চিত্র। বিক্রেতারা নানা রকমের মুখরোচক কথা বলে বিক্রি করছে শেষ মুহুর্তে বিভিন্ন রং, ডিজাইনের কাপড়। আধুনিক সভ্যতার প্রভাব ও কম পড়েনি গ্রাম-গঞ্জের মানুষদের মধ্যে তাই অনেকেই ছুটছেন গ্রামের হাট বাজার থেকে শহরের নামী দামী দোকানে নতুন ডিজাইনের আকর্ষনীয় পোশাকের খুঁজে। কাটিং মাষ্টার দর্জি রাজন আজমেদ, কাউছার আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের সাথে আলাপকালে তারা জানান- ‘সারা বছর যে পরিমান কাজ হয় তার চেয়ে ২ ঈদে কাজের পরিমান বেশি। দর্জির কাজ করে জীবনে রোজা-ঈদের আনন্দ করার সময় সুযোগ থাকে না কারন কাস্টমারের কাপড় ডেলিভারী দেওয়ার চিন্তায় অস্থির থাকতে হয় সারাণত। তবে ব্যস্ততা থাকলেও এটাকেই ঈদের আনন্দ মনে হয়। এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাষ্টমারের হাতে কাপর দিতে পারলেই শান্তি লাগে।’ শামীমা নামের এক কলেজ ছাত্রী জানান- মার্কেট থেকে পোশাক কিনলে অন্যের পোশাকের সাথে মিলে যাবে। তাই অর্ডার দিয়ে নিজের চাহিদা মত পোশাক তৈরি করে অনেকে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। রেডিমেট পোশাকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের ঝোঁক তাকলেও আনরেডি কাপড় কিনে তৈরিতে ব্যস্থতার কমতি নেই দর্জি কারিগরদের। দর্জির দোকানে আসা ফারজানা আক্তার নামের এক ক্রেতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে থ্রি পিস বানাতে দর্জির দোকানে আসার কারন একটাই, দর্জির দোকান থেকে কাপড় সেলাই করলে সেই জামা পরতে ফিটিংয় হয়। রেডিমেট জামা থেকে বানানো ভালো এবং সুন্দর হয় তাই তারা দর্জি দোকানে এসে জামা বানান বলেও জানান অনেক নারী ক্রেতা। ছেলেদের কেত্রেও এমনটাই হয়। টিটু আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান, সিলেট থেকে গিয়ে কাপরের পিস কিনে এনে দর্জির মাধ্যমে শার্ট বানিয়েছি। এটা অনেকে ইচ্ছা করলেও কপি করতে পারবে না। মার্কেট থেকে কিনলে এক রখম শার্ট অনেক পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর