,

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ৫ দিনের অনশনে অসুস্থ শতাধিক শিক্ষক

সময় ডেস্ক ॥ টানা পাঁচ দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের মধ্যে গত শুক্রবার ১২ জনের শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। ছয় জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আন্দোলনের কারণে গত ২৩ জুন থেকে সারাদেশের নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ২৫ জুন থেকে এ অনশন শুরু হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কের উল্টো দিকে ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনে’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। একইসঙ্গে শুক্রবার শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির ২০তম দিন পার হয়। ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার সাংবাদিকদের জানান, অনশনের ৫ম দিন বিকেল চারটা পর্যন্ত মোট ১০২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ১৫ জনকে অবস্থানস্থলে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, শুক্রবার তাদের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হিরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি ফোরামের মহাসচিব আব্দুল খালেক প্রমুখ। গত ১০ জুন থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। ১৮ জুন থেকে রাতেও অবস্থান করছেন তারা। এর আগে একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে নামে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তাঁরা অনশন ভঙ্গ করে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তখন তাঁদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যান। তাদের বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা উল্লেখ না করে তাদের গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ফুটপাতে অনাহারে থেকে অনশন চালিয়ে যাবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর