,

ফ্রান্সের নিকাব নিষিদ্ধের আইন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ

সময় ডেস্ক :: পুরো শরীর ঢাকা ইসলামি পোষাক নিকাব নিষিদ্ধ করে ফ্রান্স মানবাধিকার লঙ্ঘণ করেছে বলে রায় দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি। সংস্থাটি বলেছে, নিষিদ্ধের স্বপক্ষে যথেষ্ট কারণ দেখাতে পারেনি ফ্রান্স। ফ্রান্সকে এই আইন পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। এ খবর দিয়েছে মিরর। খবরে বলা হয়, নিকাব পরার কারণে জরিমানা শিকার হওয়া দুই নারী এই আইনের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর এই সিদ্ধান্ত দেয় কমিটি। ওই দুই নারীকে ক্ষতিপূরণ দিতেও ফরাসি আইনপ্রণেতাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফরাসি ওই আইন ‘মাত্রাজ্ঞানহীন।’ সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই আইনের ফলে অনেক নারী নিজেকে গৃহের ভেতর আবদ্ধ করে রাখতে বাধ্য হবেন। রায়ে কমিটি বলেছে, ‘ফ্রান্স যেই যুক্তি দেখিয়েছে যে মুখ ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিরাপত্তাগত দিক থেকে কিংবা সমাজে ‘একত্রে বসবাসে’র লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত ছিল, তা আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।’ বিভিন্ন দেশ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংবিধি একেকটি দেশ কতটা মেনে চলছে, তা-ই একদল স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের এই কমিটি পর্যালোচনা করে থাকে। কমিটি বলেছে, রায়ের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে ১৮০ দিন সময় পাবে ফ্রান্স। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয় ২০১১ সালের এপ্রিলে। আইনানুযায়ী নিকাব পরিধানের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ ইউরো জরিমানা গুনতে হতে পারে। এছাড়া নাগরিক শিক্ষা নিতে বাধ্য করা হতে পারে। যখন এই আইন প্রণীত হয়, তখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ফ্রান্সে বোরকা স্বাগত নয়। আমাদের দেশে নারীদেরকে পর্দার আড়ালের বন্দী হিসেবে আমরা মানতে পারি না। তাদেরকে সমস্ত সামাজিক জীবন, সব ধরণের পরিচয়বিহীন করতে দিতে পারি না। আমাদের স্বাধীনতার ধারণা এমন নয়।’


     এই বিভাগের আরো খবর