,

জগন্নাথপুরে শীতের শুরুতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কিছুদিন হলো দরজায় কড়া নেড়েছে শীত। বাতাসে-শিশিরে অনুভুত হচ্ছে ঠান্ডা। শরতের বিদায়ের পর হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে ঋতুর পালাবদলে শীত মৌসুমকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি নতুন ঋতু গ্রহণে এখানকার মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে দৈনন্দিন রুটিন। তবে মানসিকভাবে শীতের জন্য প্রস্তুত থাকলেও নতুন ঋতু গ্রহণ করতে মানুষের শরীর কিছুটা সময় নেয়। যার ফলে দেখা দেয় জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট ছাড়াও নানা রোগ-বালাই। একবার ঠান্ডা লাগলে না সাড়ার প্রবণতা দেখা যায় লোকজনের মাঝে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থেকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই এ সময়টাতে অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মৌসুমি সবজি, গরম কাপড় বিক্রিসহ প্রকৃতির পরিবর্তনে শীতের আমেজ বিরাজ করছে সবদিকে। কিন্তু জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট ছাড়াও নানা ধরনের রোগে ভ‚গতে দেখা যায় লোকজনকে। চিকিৎসা সেবা নিতে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মেসীতে দেখা গেছে রোগীদের ভিড়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। জগন্নাথপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মোছা. পিংকি বেগম নামের এক নারী জানান, তার স্বামী ও সন্তানসহ পরিবারের সবারই গত ক’দিন ধরে কমবেশি সর্দি, কাঁশি, জ্বর ও মাথা ব্যাথা হচ্ছে। হঠাৎ করে ঠান্ডা নামার কারনেই এমটি হচ্ছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে কথা হলে জানান, প্রতিবছর শীতকালের শুরুতে এ্যালার্জি ও এ্যাজমা অনেক েেত্র একসাথে হয়ে থাকে। এই দুই রোগের প্রভাব শীতকালেই বেশি থাকে। এ রোগে সর্দি, হাঁচি, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টে বুকে চাপ ও আওয়াজ হয়। সেক্ষেত্রে যেসব জিনিস থেকে এ্যালার্জি হয় ওইসব থেকে দূরে থাকা জরুরী। প্রয়োজনে এ্যালার্জির ওষুধ, নাকের স্প্রে, বিশেষ ক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করতে হবে। এসময় সাইনোসাইটিসের সমস্যাও দেখা যায়, বারবার মাথা ধরা, সর্দি-কাশি, কাশতে কাশতে বমি ও জ্বর ইত্যাদি সাইনোসাইটিসের লণ। এসব রোগের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রয়োজনে এ্যান্টিাবায়োটিক খেতে হবে। এছাড়া শীতকালে ভাইরাস জ্বরও হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। শিশু-বৃদ্ধ ছাড়াও যাদের শরীরে ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস আছে তাদের জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল জাতীয় খাবার, খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবু-চিনির শরবত খুবই উপকারী। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এসময়ে ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়াই উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর