,

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দিতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি শহীদ কিরবিয়া চত্ত্বরের দুই পাশের প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারলেন কাজ চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে। এ কারণে মহাসড়কের দু’পাশে বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙ্গেঁর ছাতার মতো টিনসেট-ঘর, টং, যাত্রী ছাউনি দখল করে ব্যবসা, রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সহ অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তাছাড়া ফুটপাতে জনসাধারন চলাচলের পথে বিভিন্ন মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব দখলদারিত্বের কারণে সৃষ্ট যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় দূরপাল্লার পরিবহনসহ সাধারণ যাত্রীদের। প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা। র্দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্ধাসহ পথচারিরা। অবশেষে গতকাল বুধবার চলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদুল হাসান চৌধুরী এ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

5

এ সময় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও গোপলার বাজার ফাঁড়ির পুলিশ অভিযানে সহযোগীতা করেন। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের পূর্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু নার্টিশ ও মাইকিং করার পরও দখলদাররা কোন কর্ণাপাত করেনি। তাই এগুলো অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেই সাথে আবারও যাতে করে এসব অবৈধ স্থাপনা বসানো না হয় সেজন্য হুশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ অভিযান নিয়মিত চলবে। মহাড়কের উন্নয়নের লক্ষে সড়কের দু’পাশের অবৈধ দোকানপাটও অন্যান্য স্থাপনার ময়লা আবর্জনাগুলো মহাসড়কের পাশে ফেলে আবর্জনার স্থপ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মহাসড়কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও অবৈধ দখলদাররা সড়কের দু’পাশ দখলে নেয়ার কারণে সড়কের দু’পাশের খোলা জায়গা কমে যাচ্ছে। এর কারণে মহসড়কের বিভিন্ন রাস্তার পাশে পরিবহনগুলো দাঁড় করাতে পারছেন না। দিন দিন দখলদারদের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এদিকে, উচ্ছেদ চলাকালিন সময়ে শাকিল রেষ্টুরেন্টের সামন ভাঙ্গার সময় নবীগঞ্জ উপজেলার  দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কাঠ মেস্থরী জুয়েল মিয়া ও পল্লীবিদ্যুতের শ্রমিক রবিউল ইসলামসহ ৩জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর