,

চুনারুঘাটে কৃষকের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ

এম এস জিলানী আখনজী : করোনার কারনে শ্রমিক স্বল্পতার প্রভাব দুর করতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় এবং সঠিক সময়ে জমির ধান কেটে ঘরে তোলার লক্ষ্যে সরকারি ৫০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের মাঝে ১টি কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সরকারের ভর্তুকি মূল্যে ১৫ লক্ষ ৫০ হাজর টাকা দিয়ে কৃষক সহজে পাচ্ছে এ কম্বাইন হারভেস্টার নামক মেশিনটি। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে একটি এসিআই এর ইয়ানমার মডেলের কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষকের হাতে তুলে দেয়া হয়।

গতকাল বুধবার (২২ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কম্বাইন হারভেস্টার এর চাবি তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ। উপজেলার ৯নং রানীগাওঁ ইউনিয়নের পীরের গাঁও গ্রামের কৃষক মোঃ আফজল মিয়ার হাতে মেশিনের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর বলেন- দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চুনারুঘাটে যেন কোন ধরনের ক্ষেত-খামার খালি পরে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং একই সাথে কৃষি কাজ করার জন্য সকল কৃষকদেরকে পরামর্শসহ উৎসাহ দিতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার বলেনÑ কৃষকরা যাতে সঠিক সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার ৫০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার দেয়া হয়েছে। এ মেশিনটি দিয়ে ঘন্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই করা যায়। পানি এবং কাদা মাটিতেও কাটতে পারে এ মেশিন। সনাতন পদ্ধতিতে ধান কেটে কৃষকদের ধান উৎপাদনে তেমন বেশি লাভ হতো না। খরচ পুষিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হতো। কারণ ধান কাটার মজুরি খরচ, বাজার দর ও উৎপাদনের উপর নির্ভর করতো লাভ কেমন হবে। কিন্তু দিন বদল হয়েছে। এখন কৃষি ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন চুনারুঘাটের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে ধান কাটার আধুনিকতা। তিনি আরো জানান, জমি চাষে গরুর বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর আর ধান কাটতে ব্যবহৃত হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার। বিভিন্ন সময়ে কৃষকদেরকে ধান কাটার সময় পড়তে হতো শ্রমিক সমস্যায়। খরচও হতো অধিক টাকা। পড়তে হতো লোকসানে। সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগছে কৃষকের, ফলে একই জমিতে খুব সহজেই দুই বা ততোদিক ফসল করা যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- সরকারের ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা এই মেশিনটির যাতে সটিক ব্যবহার হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর