,

হবিগঞ্জে আলমগীর মারা যাওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল রোডে ‘সিহাব রেস্ট হাউজে’ স্ট্যাম্প ভেন্ডার আলমগীর মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে আলমগীরের ভাই বাদি হয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামি হলো, বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের লুৎফুর রহমানের অষ্টাদশী কন্যা তানিয়া আক্তার। তানিয়া বর্তমানে ৫৪ ধারায় আটক হয়ে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছে। জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের স্টাম্প ভেন্ডার গত বৃহস্পতিবার রাতে তানিয়া আক্তার নামের এক নারীকে নিয়ে তিনি হোটেলের ৩য় তলার ৩০১ নং রোমে রাত্রিযাপনের জন্য যান। এর আগেও তিনি ওই নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করে একাধিকবার রাত্রি যাপন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও তারা ওই রেস্ট হাউজে আসেন। গত শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই ওই নারী হোটেল ম্যানেজার দাউত মিয়াকে জানায় আলমগীর মিয়া গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। পরে ম্যানেজার দাউত মিয়া হোটেল মালিককে বিষয়টি অবগত করলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলমগীর মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, মৃত আলমগীর মিয়ার ১ম স্ত্রীর দাবি মাসখানেক আগে তিনি গোপনে বিয়ে করেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রায় সময় তিনি বাসার বাহিরে থাকতেন। তবে আলমগীরের সাথে রাত্রী যাপন করা তানিয়া আক্তার দাবি করেন- পরিবারের অগোচরে ১ মাস আগে আলমগীর তাকে বিয়ে করেন। তার কাছে বিয়ের যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই তারা দুইজনে হোটেল সিহাব রেস্ট হাউজে রাত্রীযাপন করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে হোটেলের রুমে আলমগীর অতিরিক্ত পরিমাণে ভিয়ার পান করেন। এতে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে হোটেল মালিক সজলু মিয়া বলেন- নিহত আলমগীর আমার কাছের বন্ধু। তাই তাকে কাগজপত্র ছাড়াই থাকতে দিয়েছিলাম। হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান- খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরী করেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাথে থাকা তানিয়া আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তানিয়া ইকরাম গ্রামের বাসিন্দা। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, দুই স্ত্রীর চাপে পড়ে আলমগীর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। রাতে হোটেলে তানিয়া ও আলমগীর উভয়ই মদপান করে। এসআই পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তী লাশের সুরতহাল তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। গত শনিবার বিকেলে তানিয়াকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। হত্যা মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে আদেশের জন্য তারিখ ধার্য্য করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর