,

বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

সময় ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতায় বাংলাদেশসহ ১২টি দেশের নাগরিকের আপাতত মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কুয়ালালামপুর। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি হয়। শনিবার এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এদিকে নিষেধাজ্ঞার সুযোগে বিদেশি কর্মীদের বিশেষত বাংলাদেশি যারা ঢাকায় আটকা পড়েছেন তাদের কুয়ালালামপুর ফেরানোর প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক দুষ্টচক্র সক্রিয় রয়েছে সতর্কতামূলক বার্তা প্রচার করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ওই বার্তায় বাংলাদেশিদের কোন অবস্থাতেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে না পড়তে সতর্ক করা হয়েছে। কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মালয়েশিয়া গত বৃহস্পতিবার নতুন করে নয়টি দেশের নাগরিককে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, সৌদি আরব ও রাশিয়া রয়েছে। এর আগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের নাগরিকদের ওপর।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল না হলে ছুটিতে এসে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়া প্রবেশে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেন- এই সময়ে কেউ দালালদের খপ্পরে পড়ে বা কারও কথায় প্ররোচিত হয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। করলে চিরদিনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে পারেন। নিষেধাজ্ঞা শিথিলে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবে এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক আলোচনা চালিয়ে যাব এবং সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে অবশ্যই দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে।
দূতাবাসের নেটিশ: ওদিকে শুক্রবার মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজে একটি গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়া সরকারের চলমান রিকোভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) চলছে। এরমধ্যে বিদেশি সাধারণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে এক শ্রেণির দুষ্টচক্র ভিসা দেয়াসহ মালয়েশিয়া ফেরত আসার বিষয়ে প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়া সাধারণ প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে আরও বলা হয়- করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটিতে যাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসীরা অবশ্যই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কবে আবার মালয়েশিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার কবে তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কী-না তা নিয়ে রয়েছেন অনিশ্চয়তায়। মালয়েশিয়াজুড়ে চলমান রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়- সমপ্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় আসা ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে নতুন করোনা সংক্রমিতের ক্লাস্টার চিহ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশসহ প্রায় ১২টি দেশের নাগরিকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ছুটিতে গিয়ে আটকে পড়া অথবা মালয়েশিয়া প্রবেশে অপেক্ষারতদের ভোগান্তিই বেশি। অনেকের ভিসার মেয়াদ এরইমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, কারণ আরএমসিও চলাকালে বিদেশি সাধারণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ থাকছে।


     এই বিভাগের আরো খবর