,

প্রচুর পানি পানে কমে মুত্রাশয়ের সংক্রমণ

সময় ডেস্ক ॥ মুত্রাশয়ের সংক্রমণ যে কারও হতে পারে। তবে মূত্রাশয়ের সংক্রমণের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় নারীদেরই বেশি? জার্মান একটি জরিপের ফলাফলে জানানো হয়েছে, এ দেশে প্রতি দু’জনের একজন মহিলা জীবনে অন্তত একবার মূত্রাশয়ের সংক্রমণে আক্রান্ত হন? এই সংক্রমণ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণেই হয়ে থাকে আর একবার যে নারীর এই ইনফেকশন হয়, পরবর্তীতেও তাঁর এই সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে? মূত্রনালি পুরুষদের ২০ এবং নারীদের ৪ সেন্টিমিটার হওয়ার ফলে পরিষ্কার রাখা কষ্টসাধ্য হয়? এদিকে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ হলে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এমন সংক্রমণে জ্বর, পেটে ব্যথা, প্রদাহ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।। যাদের ঘন ঘন প্রসাবে সংক্রমণ হয় তারা কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে তা নিরাময়ের চেষ্টা করতে পারেন। যেমন- ১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ২. ক্যানবেরির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগার মূত্রাশয়ের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, ফলের মধ্যে আপেল, কমলালেবু, পিচ আর সবজির মধ্যে সবুজ বিন এ ধরণের সমস্যা কমায়। ৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে প্রসাবে ঘন ঘন সংক্রমণ হয়। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খান। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।মূত্রাশয়ের সংক্রমণ কমাতে ভিটামিন সি বেশ কার্যকরী। ৪. যাদের অন্ত্রে সমস্যা থাকে তারাও মূত্রাশয়ের সংক্রমণে ভোগেন। অনেক সময় অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অন্ত্রে তৈরি হওয়া ভালো ব্যাকটেরিয়া ওষুধের প্রভাবে মরে যায়। তাই মুত্রাশয়ের সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হলে সঙ্গে প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক ওষুধও নিতে হবে। ৫. বেশিক্ষণ প্রসাব চেপে ধরে রাখা মানে জমিয়ে রাখা ইউরিনে জীবাণুর জন্ম নেওয়া। তাই প্রসাব কখনও আটকে রাখবেন না। এতে সংক্রমণ বাড়ে।


     এই বিভাগের আরো খবর