,

হরতালে মাইকিং করে সংঘর্ষ ওসিসহ আহত অর্ধশতাধিক

সময় ডেস্ক ॥ সিলেটের বিশ্বনাথে হেফাজতের ডাকা হরতালে পিকেটিংয়ের জের ধরে মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া গ্রাম ও আমতৈল গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধলিপাড়া গ্রামের চারটি বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করেছে আমতৈল গ্রামের লোকজন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে থানার ওসিসহ উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আমতৈল গ্রামের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে গুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় ৮০-৯০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৫-৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় ডিবি পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলেনি পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন থানার ওসি শামীম মূসা, এসআই আফতাবউজ্জামান রিগ্যান, কনস্টেবল নাহিদ, ইমরান, জাবেদ ও আব্দুল আলিম। স্থানীয়রা জানান, ধলিপাড়া গ্রামের খায়রুল আলম তার ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৯৮২৩) নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে রামপাশা-লামাকাজী সড়কের আমতৈল পিছেরমুখ নামক স্থানে গেলে আমতৈল গ্রামের কয়েকজন জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত নেতা তাকে বাধা দিলে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় মূলহোতা মুফতি ফারুক মিয়া আমতৈল গ্রামে গিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, হরতালে পিকেটিং করতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হামলায় তিনিসহ তার ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর