,

মানুষের সমস্যা হবে তারপরও জীবনটা আগে

সময় ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। একটু কষ্ট হবে। তারপরও।’ লকডাউনে সমস্যার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, ‘মানুষের সমস্যা হবে। তারপরও জীবনটা আগে। জীবন বাঁচানো সবার করণীয়। রোববার দুপুরে একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পর্যটন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদেশ থেকে যাত্রী এলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। এক সপ্তাহ অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিং মল বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। সব নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা দিয়েছি।’ এগুলো মানলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘করোনাভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে ২৯, ৩০ ও ৩১ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি বেড়ে গিয়েছিল। এখনো বাড়ছে। সে কারণে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে। বিয়ে-শাদিসহ সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এবারের ভাইরাসটি কতটুকু খারাপ করল, চট করে তা বোঝা যায় না। পরে দেখা যায়, পরিস্থিতি হঠাৎ খারাপ হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, তরুণ ও শিশুরাও সংক্রমিত হচ্ছে। তাদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আমরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু করবো। আরও টিকা আনা হবে। টিকা আনার ব্যবস্থা করবো। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে সাত দিন লকডাউন ঘোষণা করে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রোস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।


     এই বিভাগের আরো খবর