,

যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

সময় ডেস্ক ॥ যৌন সহিংসতামুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আজ সোমবার একটি অনলাইন সভার মাধ্যমে ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’ এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিটি ইউএন উইমেন এবং গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এই অনলাইন সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন এবং মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমরান কবীর চৌধুরী, ইউএন উইমেন’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সুকো ইশিকাওয়া, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইসার ফারজানা সুলতানা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধাক্ষ্য প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, রেজিস্টার প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস এবং দৃষ্টি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক পাপড়ি বোস। পুরো অনলাইন সভাটি উপস্থাপনা করেন আমরাই পারি জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক। হাইকোর্টের ২০০৯ সালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে কমিটি এবং নীতিমালা তৈরি করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো হলেও তদারকি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নীতিমালা এবং কমিটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় “কম্ব্যাটিং জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স” প্রজেক্টের অধীনে আমরাই পারি জোট বগুড়া, কুমিল্লা ও পটুয়াখালী এই তিনটি জেলায় মোট ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা এবং কমিটি গড়ে তোলার কাজ করছে। এরই ফলশ্রুতিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করল। করোনার অতিমারীতে বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও সফলভাবে এই উদ্যোগ সম্পন্ন করার জন্য ইউএন উইমেন’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সুকো ইশিকাওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এই উদ্যোগটিকে যৌন নির্যাতনমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পথে একটি মাইলস্টোন বলে উল্লেখ করেন। উক্ত অনলাইন সভায় আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন এবং মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এই নীতিমালা ঘোষণার মাধ্যমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করি, কুমিল্লার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ ক্ষেত্রে এই নীতিমালা তৈরি করবে। শুধু নীতিমালা তৈরি করাই নয়, এই নীতিমালা প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, খুব শিগগির এই নীতিমালাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করা হবে যাতে করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন বিরোধী নীতিমালাটি স্থায়ীভাবে কার্যকর হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর