,

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন: ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী

সময় ডেস্ক ॥ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও পানি বণ্টন চুক্তি করেছিলেন। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্ত ভিত রচনা করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তার রাজনীতির মূল দর্শন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ‘স্বপ্নের রূপকার’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের আবাসন প্রকল্পের প্রশংসা করেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বক্তব্য দেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন পাড়ি দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। ১৯৪৭-এ জন্মের পর থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসন অবসানের সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ কার্যকর করার মাধ্যমে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে আজ উন্নয়ন বিস্ময়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আজ দেশের সব েেত্র উন্নয়ন বিস্ময়কর। অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। তার সুদ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।


     এই বিভাগের আরো খবর