,

আট মাসে ২ হাজারের অধিক নারী-শিশু নির্যাতন :: ৬শ জন নারী ধর্ষণের শিকার

সময় ডেস্ক : তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা দিনে দিনে বাড়ছে। বদল এসেছে সহিংসতার ধরনেও। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৩৬৫ জন কন্যাশিশু ও নারী। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৯১ জন। বিশিষ্টজন মনে করছেন, গণপরিবহন, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র নারী ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৩৬৫ জন কন্যাশিশু এবং ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৯১ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৭ জন। ৭০ জন কন্যাশিশুসহ ১০৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ছাড়া শুধু আগস্ট মাসেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৬৬ জন। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৮ জন। এর মধ্যে ২২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২২ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ১৮ জন কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১৯ জন। তাদের মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছে। পাচার হয়েছে ৩ কন্যাশিশুসহ ২১ জন। অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে দু’জন। একজন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন, তাদের মধ্যে একজন কন্যাশিশুসহ ৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ১৩ কন্যাশিশুসহ ১৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। তিন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ৭ জন। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৫টি। ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ।
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তাহীনতা, আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহনে হয়রানি, কিশোরী এবং তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব’ শিরোনামে এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় গণপরিবহনে যৌন হেনস্তার শিকার ৪৭ শতাংশ নারী। এর আগে ব্র্যাকসহ কয়েকটি সংগঠন পরিচালিত জরিপে জানা যায়, দেশের গণপরিবহন নারীবান্ধব তো নয়ই; কখনও কখনও চরম বৈরী ঘটনা সভ্যতা-মানবতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেয়। গণপরিবহনে চলাচল করা কিশোরী, তরুণী ও নারীদের ৬৩ শতাংশ নানা ধরনের হয়রানির শিকার। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার।


     এই বিভাগের আরো খবর