,

শায়েস্তাগঞ্জে ভালোবেসে সংসার করা হলো না বৃষ্টির :: স্বামী রায়হান পলাতক

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জে ভালোবেসে বিয়ে করে সংসার করা হলো না বৃষ্টি আক্তার নামের এক যুবতীর। অবশেষে লাশ হয়ে পিত্রালয়ে এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। তবে কে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টি শায়েস্তাগঞ্জ রেল কলোনীর আনোয়ার আলীর কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫/৬ মাস আগে রায়হান আজিজ নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় বৃষ্টির। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রথমে বৃষ্টির পর তা মেনে নেয়নি। পরে মেয়ের কথা চিন্তা করে সম্পর্ক মেনে নেয়। তবে রায়হান আজিজ পরিচয়হীন ছিলো। এ কারণে বৃষ্টির সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি পরিবার। এক পর্যায়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করে তারা। এরপর থেকে স্বামী স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করতো। বিয়ের আগে রায়হান নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দেয়। বিয়ের পর বৃষ্টি খবর নিয়ে জানতে পারে সে ব্যবসায়ী তো দূরের কথা তার পিতৃপরিচয় নেই। তবুও ভালোবাসার কথা চিন্তা করে সংসার করতে থাকে বৃষ্টি। গত শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বৃস্টিকে মারপিট করে রায়হান। বিষয়টি বৃষ্টি তার মা বাবাকে জানায়। তারা বৃষ্টির স্বামীর কথা মতো আশুগঞ্জ যান। তখন রায়হান একটি প্রাইভেটকারে বৃষ্টিকে অচেতন অবস্থায় আশুগঞ্জ তার বাবা-মার কাছে দিয়ে বলে প্রেসার উঠে সে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ইনজেকশন ও স্যালাইন দেয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ পরই জ্ঞান ফিরে আসবে। তাকে নিয়ে যান। শনিবার বাসায় আসব বলে চলে যায়। রাত ২টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল কলোনীর বাসায় নিয়ে এলে বৃষ্টির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাকে ডাকাডাকি করলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয় চিকিৎসক নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক কামাল, এসআই জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃষ্টির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরণ করেন। ওসি জানান, লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে এবং তার স্বামীকে ধরতে পারলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ নির্দিষ্ট করে কিছু না জানালেও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর