,

নিজেকে ধাপে ধাপে পরিবর্তন করুন

১. ঈমানকে দৃঢ় রাখতে চেষ্টা করুন। সকল প্রকার ছোট শিরক, বড় শিরককে না বলুন। আল্লাহ ছাড়া আল্লাহর কোন সৃষ্টিকে ভরসা করবেন না। একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবেন।
২. ৫ ওয়াক্ত নামাজ কন্টিনিউ করুন। সাথে ১২ রাকাত সুন্নত পড়তেই হবে। কোনভাবেই মিস দিবেন না।
৩. হারাম বর্জন করুন। গান-বাজনা, নাটক, মুভি ইত্যাদি। হারামে লিপ্ত থাকলে ইবাদত কবুল হয় না।
৪. গীবত, পরনিন্দা, অহংকার এই তিনটি জিনিস আপনার ব্যক্তিসত্ত্বা থেকে উপড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, গীবত আপনার তাহাজ্জুদ ছিনিয়ে নেবে, যার নামে গীবত করবেন সে অনায়াসে সে আপনার নফল ইবাদত নিয়ে নেবে। তাই দরকার কী? এতো কষ্ট করে ইবাদত করেন সামান্য জিনিসের জন্য সেটা বিফলে যাবে। জবানের হিফাজত করুন। বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়ুন।
৫. আপনার বন্ধু মহলে খারাপ কেউ থাকলে সাময়িক সময়ের জন্য বিরতি নিন। কিছু সময় একা থাকুন। বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করুন। নামাজে সিজদাহকে দীর্ঘ করুন। এতে রবের সাথে আপনার সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
৬. ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর অন্তত ৫ আয়াত হলেও কুরআন পড়বেন। সাথে ৫ আয়াতের অর্থও পড়বেন। কুরআনের সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে দিন। কুরআন আপনার সম্মান বাড়িয়ে দেবে ১০০%!
৭. মেয়েরা প্রোপারলি পর্দা করার চেষ্টা করবেন। কোন রকম গায়রে মাহরামের সামনে যেতে পারবেন না, আকর্ষণীয় কণ্ঠে কথা বলতে পারবেন না।
৮. ফোন থেকে এক ক্লিকেই গান, মুভি, সিনেমা ডিলেট করে দিন।
৯. প্রতিদিন ৫ বার আজানের জবাব দেয়া। আজানের জবাবের মধ্যে অফুরন্ত ফজিলত রয়েছে। মাত্র ২/৩ মিনিটে এই আমলটি করে নেবেন।
১০. প্রতিদিন ১০০ বার করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আজিম পড়া। আল্লাহর পছন্দের বাক্যগুলা বেশি বেশি পড়া।
১১. এইবার নতুন কিছু শুরু হোক। এশার সালাত আদায় করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। দ্রুত ঘুমালে তাহাজ্জুদের জন্য নিজ থেকেই জেগে উঠতে পারবেন। আর দেখবেন যেন অলৌকিক ভাবেই উঠছেন।
১২. প্রতিদিন সকালে একবার বিকেলে একবার “সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার” পড়ুন।
১৩. যতবারই কোন না কোন ভুল করবেন ততবারই তাওবা করবেন। আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন।


     এই বিভাগের আরো খবর