,

শীতকালে টক দই!

সময় ডেস্ক : প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই নানা ধরনের রোগব্যাধিতে ভোগেন। তাছাড়া শীতকাল পড়লে এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। এ সময়ে রোগের সঙ্গে লড়তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকায় টক দই রাখা জরুরি।
টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়ামও থাকে। শীতকালে হাড় ভাল রাখতে দই খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালশিয়াম সবচেয়ে উপকারী উপাদান। এ ছাড়া গ্যাস, পেট ফাঁপা, গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের ক্ষমতা অপরিসীম। এ ছাড়া, দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এবং ফসফরাস। শরীরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে টক দই। তবে দই ঠান্ডা হওয়ায় অনেকের ধারণা শীতকালে টক দই খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে দই খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং দই খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শীতকালেও মেপে টক দই খাওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বিকেল ৫টার মধ্যে দই খাওয়া যায়। ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলে আলাদা কথা। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর দই এড়িয়ে যাওয়া ভাল। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সচেতন থাকাই ভাল।
শীতকালে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বার করে খেলে সমস্যা হতে পারে। সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই শীতকালে দই খেতে হলে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে বার করে নিন। দইয়ের ঠান্ডা ভাব কেটে গেলে তার পর খান। এটি ছাড়াও শীতকালে দই খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন।
১. দুপুরে খাওয়ার পরে এক বাটি দই খেয়ে নিন। সকালের নাশতার পর খেতে পারেন টক দই। রাতের খাবারে দই না রাখলেই ভাল।
২. শুধু দই খেতে না চাইলে মৌসুমি কিছু ফল দিয়ে একটি স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন।
৩. সকালে ওটসের সঙ্গেও টক দই খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়বে না। শীতে শরীর সুস্থও থাকবে।


     এই বিভাগের আরো খবর