,

২৪ বছর পর প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় বেলজিয়ামের কানাডাকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ডে মরক্কো

সময় ডেস্ক : ড্র হলেও সম্ভব, তবে শর্ত প্রযোজ্য খেলা শুরুর মুহূর্তেও বেলজিয়ামের সমীকরণ ছিল এ রকম। সেই শর্তের মধ্যে ছিল কানাডার কাছে মরক্কোর হার। সঙ্গে বড় অঙ্কের গোল ব্যবধান। কিন্তু খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই বেলজিয়ামের হিসাবটা হয়ে গেল একমুখী ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে। বেলজিয়াম জেতেনি। ক্রোয়াটদের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করেছে ০-০ স্কোরলাইনে। ওদিকে মরক্কো জিতে গেছে ২-১ ব্যবধানে। দুই ফলের হিসাব-নিকাশে গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বেলজিয়ামের। ‘এফ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া।
২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা বেলজিয়াম প্রথম রাউন্ড থেকে সর্বশেষ বিদায় নিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। রাশিয়ায় তৃতীয় হওয়ার আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল দেশটি।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে নামার আগেই নিজেদের পথটা কঠিন করে তুলেছিল বেলজিয়াম। কানাডার বিপক্ষে কোনোমতে ১-০ ব্যবধানে জিতলেও মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হারায় শেষ ম্যাচের সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এর পরও অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথ নিজেদের হাতেই ছিল। জিততে হতো ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার সমীকরণ ছিল অপেক্ষাকৃত সহজ। ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত।
৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মরক্কো শেষ ষোলোয় খেলবে ‘ই’ গ্রুপ রানার্স আপের বিপক্ষে। ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ একই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। কানাডার বিপক্ষে জয় বা ড্র-হলেই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সমীকরণ ছিল মরক্কোর সামনে। শেষ পর্যন্ত কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে শীর্ষে থেকেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন আশরাফ হাকিমিরা। দ্বিতীয়বারের মতো মরক্কো পেয়েছে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট।
অন্যদিকে দারুণ ছন্দ নিয়ে টুর্নামেন্টে আসা জন হার্ডম্যানের কানাডা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হারল। শেষ ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে সান্ত্বনার জয়টাও পেল না। মাঠে নামার আগেও অতীত ইতিহাসও এগিয়ে ছিল মরক্কো। আগের তিন দেখায় দুইবারই জিতেছে আটলাস লায়ন্সরা। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়। কানাডাকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে মরক্কো কতটা মরিয়া ছিল তা মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগুরাগুইয়ের কথা শুনলেই ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচের জন্য ফুটবলাররা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’ কোচের কথার মান রাখতেই কি না মাঠে মরক্কোর ফুটবলারদের যুদ্ধদেহী মনোভাব দেখা গেছে বেশি। এটিই কাতার বিশ্বকাপের শততম গোলও।


     এই বিভাগের আরো খবর