,

লাখাই উপজেলা কারাগারে অটোরিকশা সিএনজি

লাখাই প্রতিনিধি : লাখাই উপজেলা কারাগারে অটোরিকশা সিএনজি। এ নিয়ে চলছে এলাকায় নানা গুঞ্জন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৯৮৩ সালে মানউন্নিত থানা হিসেবে বৃত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর ১৯৮৪ সালে লাখাই উপজেলা স্বীকৃতি লাভের পর নির্মাণ করা হয় লাখাই উপজেলা কারাগার। তৎকালীন সময়ে লাখাই উপজেলা বিচারিক আদালতের কার্যক্রম চালু হলে ঔ কারাগারে হাজতিদের রাখা হতো সেই কারাগারে।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে কোর্ট কাচারী স্থানান্তরিত করা হয় হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তখন থেকেই সেই কারাগার হয়ে পরে পরিত্যক্ত। পরবর্তীতে গত করোনাকালীনের আগে সেই কারাগারে ভাদিকারা সরকারি বিদ্যালয়ের শিশু নিকেতন হিসেবে কার্যক্রম চালু হয় শিশু-কিশোরের পাঠদান। করোনাকালীন সময়ে বন্ধ হয়ে যায় সেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তখন থেকে ভাদিকারা গ্রামের মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে বর্তমানে মৃত আলী আজগরের অধীনে চলে আসে ঔ কারাগার। তখন থেকেই কারাগারের চাবির গুচ্ছ বর্তমানে মৃত আলী আজগরের হাতে। এই সুবাদে আলী আজগর জীবিত থাকাবস্থায় কারাগারের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালীর ডাল পালা কেটে যোগান দিতেন জ্বালানী কাঠ হিসেবে। এতে করে সকাররে কয়েক লাখ টাকার গাছগাছালির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বর্তমানে মৃত আলী আজগরের মেয়ের জামাই অটোরিকশা চালক মোঃ শেবলু মিয়ার তত্বাবধানে আছে লাখাই উপজেলা কারাগার। এ সুবাদে শেবলু মিয়া ঔ কারাগারে অভ্যন্তরে অবস্থিত ঝড়ে পরা গাছগাছালির ডালপালা নিয়ে জ্বালানি কাঠ হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানা কোন কোন সময় কারাগারে ভিতরে থাকা গাছের ডালপালা কেটে নিতেও দেখেছে মর্মে তারা অভিযোগ করেন। বর্তমানে কারাগারে শেবলু মিয়ার অটোরিকশার গ্যারেজে পরিণত করেছে। উল্লেখ্য কোন এক সময় এ কারাগার সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিনে ছিল।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত আফজালপুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অচিরেই এর ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা গুঞ্জন দেখা দিয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর