,

সফট ড্রিঙ্কেও হতে পারে ক্যান্সার!

সময় ডেস্ক ॥ আপনি মদ্যপান বা ধূমপান করেন না। এমনকি অন্য কোনও রকম নেশা আপনার নেই। ব্যাস, এক্কেবারে নিশ্চিন্ত ক্যান্সার আপনার শরীরে থাবা বসাতে কখনোই পারবে না। তবে দিনে এক কি দু’ক্যান ঠান্ডা পানীয় আপনার বড় প্রিয়। এতে মোটা একটু হতে পারেন, কিন্তু ক্যান্সার! নৈব নৈব চ! এখানেই আপনি এবং আপনার মতো আরও অনেকেই একটা মস্ত বড় ভুল করে ফেলছেন। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা সারা দিনে দুই বা তার বেশি ক্যান সফ্ট ড্রিঙ্ক খেয়ে থাকেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যেকোনো রকম গাঢ় রঙের সফ্ট ড্রিঙ্কে মজুত থাকে ক্যারামেল কালার। এই ক্যারামেল কালার তৈরি করতে প্রয়োজন পড়ে ৪ মিথাইলিমিড্যাজল-এর (৪ এমইআই)। এই উপাদানই মানুষের শরীরে ক্যান্সারের কারণ। জনস হপকিন্স সেন্টার ফর আ লিভাবেল ফিউচারের এক গবেষক কিভ নাচম্যান জানিয়েছেন, নিয়মিত এই ধরনের পানীয় খেলে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই কারণেই প্রশ্ন উঠছে সোডাতে ক্যারামেল কালারিং-এর ব্যবহার নিয়ে। তবে তার মানে এই নয় যে প্রত্যেক গাঢ় রঙের পানীয়তেই এক মাত্রায় ৪ মিথাইলিমিড্যাজল থাকে। বরং বাস্তবে হয় ঠিক এর উল্টো। এমনকি একই সংস্থার একই পানীয়তে ভিন্ন সময়ে আলাদা মাত্রায় ৪ মিথাইলিমিড্যাজল মজুত থাকতে পারে। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কনজুমার রিপোর্টে প্রকাশিত ১১টি পানীয়র উপর করা সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকদের এক দল। সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে একটি অনলাইন জার্নাল চখঙঝ ঙহব-এ। পানীয়তে ঠিক কত পরিমাণে ৪ মিথাইলিমিড্যাজল ব্যবহার করা যাবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশ না থাকায়, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৪ মিথাইলিমিড্যাজল ব্যবহারের মাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর