,

এবার মোমোরিকার্ড প্রতারণা

সময় ডেস্ক ॥ সিমফনি -‘মডেল টি-৪৯, এল-২২, ডি-২৬, এল-২৬, ডব্লিউ-১৯, ডব্লিউ-১৭, ডব্লিউ-১৭সহ আকর্ষনীয় মোবাইল সেট মাত্র ৫৫০ টাকায়। এছাড়া ২ গিগাবাইট থেকে ৩২ গিগাবাইট মেমোরিকার্ড মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ টাকায়’। বিজ্ঞাপণের নিচে একটি মোবাইল নম্বর লেখা। কোন ঠিকানা বা প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। এটি একটি জাতীয় পত্রিকার বিজ্ঞাপণের অংশ। প্রায়ই এ ধরনের বিজ্ঞাপণ ছাপা হচ্ছে। আসলেই কি এত কম মুল্যে এসব পাওয়া সম্ভব ? এই বিজ্ঞপণটি যাদের নজরে পড়েছে তাদের সকলেরই একই প্রশ্ন ? গতকাল ফার্মগেট এলকার জাহিদ নামের একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপণটি দেখিয়ে বলেন ভাই-আমি মেমোরিকার্ডের ব্যবসা করি। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, আপনি মতিঝিলে আসেন, শাপলা চত্বরে পৌছলে জাহিদকে বলা হয়, খুব ব্যস্ত তাই এক কাজ করেন-একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয় এই নম্বরে ৩০ হাজার টাকা বিকাশ পাঠান। আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে সব মালামাল। জাহিদ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি নম্বর দিয়ে ফোন করে বলা হয়, আপনি আসলে কি পরিমান মাল নিবেন। তা জানালে দ্রুত বিকেলে মধ্যেই মাল পৌছানো হবে। কিন্তু কোন অর্ডার ছাড়াই মালের নকসা দেখা ছাড়াই জাহিদ টাকা পাঠাতে রাজী নয়। পরে অন্য আরেকটি নম্বর দিয়ে বলা হয় ‘আপনি উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে এসে ফোন দেন। মোবাইল সেট ও মোরিকার্ড দেখানো হবে। জাহিদ কয়েকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করায় আপাতত রেহাই পেয়েছেন প্রতারাণার হাত থেকে। এমন প্রতারণার খপ্পরে প্রায়ই পড়ছে স্বল্প আয়ের অসংখ্য মানুষ। আর প্রতারকেরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে র‌্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতায় মাঝে মধ্যে দুএকটা প্রতারণার কৌশল প্রকাশ পাচ্ছে ধরা পড়ছে গুটি কয়েক প্রতারক। পাশাপাশি প্রতারণার কৌশল বদলে প্রতিনিয়তই মানুষ ঠকানোর কাজটি চলছেই। এক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপণের ব্যাপারে নীতিমালা থাকা উচিত। তা না থাকায় বিজ্ঞাপণ দিয়ে প্রতারণা চালানো হচ্ছে। আর প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে যেকোন জিনিষ পত্র বিজ্ঞাপণ দেখে কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া দরকার। আর প্রতারকেরাতো কৌশল বদল করবেই। তাই বেশি লাভের আশা না করে স্বাভাবিক জীবিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও আনিতা বিথী


     এই বিভাগের আরো খবর