,

ভ্যাটে মুখ থুবড়ে পড়বে অনলাইনে কেনাবেচা

সময় ডেস্ক : মাত্র তিন-চার কোটি টাকা মুসক বা ভ্যাটের কারণে অনলাইনে কেনাবেচা বা ই-কমার্সের একশ কোটি টাকার ব্যবসাখাত মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। এ জন্য তারা ই-কমার্সে প্রস্তাবিত ৪ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা এ খাতে ভর্তুকি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। অথচ তা না করে সরকার উল্টো ভ্যাট আরোপ করে এ খাতের ব্যবসাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার মিলনায়তনে বেসিস ই-কমার্স অ্যালায়েন্স আয়োজিত ‘পলিসি সাপোর্ট ফর লোকাল ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, এফবিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিস ই-কমার্স অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সরকার একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায়, অন্যদিকে অনলাইনে কেনাবেচায় ভ্যাট আরোপ করবে- এটা তো হতে পারে না। ই-কমার্স খাত আগে পরিপক্ব হোক তারপর ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের চিন্তা করা যাবে।
তিনি বলেন, ই-কমার্স সম্ভাবনাময় একটি খাত। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা এই খাতে প্রস্তাবিত ৪শতাংশ ভ্যাট স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বেশি ক্ষতি করবে। বরং যেসব শিল্পখাত অসাধু ব্যবসা করে সেসব খাতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ানো হোক। ফাহিম মাশরুর বলেন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর ব্যাপক বিনিয়োগ ই-কমার্স খাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের হটিয়ে দিচ্ছে, এতে অচিরেই এই খাত বিদেশী কো¤পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এ ব্যবসা থেকে বছরে একশ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। কিন্তু ভ্যাট আরোপ করা হলে ব্যবসার মুখ থুবড়ে পড়বে। ডিজিটাল বাংলাদেশে কেনাবেচা নন-ডিজিটাল ফরমেটে চলে যাবে। এম এ হাকিম বলেন, শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে, তখন সরকার তাদের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। শামীম আহসান বলেন, ই-কমার্সে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও ভুল নীতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এই খাতে ভ্যাট আরোপের ফলে তরুণ উদ্যোক্তারা উৎসাহ হারাবে। ফলে ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানি ও টেলিকম কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া দখলে চলে যাবে। দেশীয় উদ্যোক্তার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য অন্তত আগামী ৩-৪ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।
উদ্যোক্তাদের এসব অভিযোগের জবাবে অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার করে যেন ব্যালান্স (ভারসাম্য) রাখা হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে ভ্যাট প্রদানে মানসিকতাও তৈরি করা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর আলী কামরুন আল জাহিদ বলেন, ভ্যাট আরোপ নয়, এই খাতে ভুর্তকি দেওয়া উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর