,

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

সময় ডেস্ক ॥ প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩১ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে ৫২ রানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৩৮ রানে আল আউট হয় বাংলাদেশ। ১৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের সঙ্গে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। তবে ৪৬ থেকে ৫৫, মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুই ওপেনার। ১৩ রান করা তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন প্রোটিয়া পেসার ওয়েইন পারনেল। এরপর স্পিনার এডি লেইর বলে ক্রিজ ছেড়ে উঠে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন সৌম্য। ২১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন এই বাঁহাতি। এরপর ইনিংসের ১১তম ওভারে অ্যারনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে রাইলি রুশোর তালুবন্দি হন সাকিব আল হাসান। ৮ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে দ্রুতই বিদায় নেন সাব্বির রহমান। স্পিনার লেইর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মিলারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৪ রান করার পর এদিন ১ রান করেন সাব্বির। লেইর পরের বলেই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম (১৯)। ইনিংসের পরের ওভারে ফাঙ্গিসোর বলে সাজঘরের পথ ধরেন নাসির হোসেন। আগের ম্যাচে ১ রান করা নাসির এদিন ডাক মারেন। নাসিরের বিদায়ের পর অভিষিক্ত রনি তালুকদারকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন লিটন দাস। তবে লিটনকে ফিরিয়ে ২১ রানের জুটি ভাঙেন ফাঙ্গিসো। মিড উইকেটে ডেভিড ওয়াইজির ক্যাচ হওয়ার আগে ১০ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১০ ওভারে ৯৫ রান তোলেন দুজন। তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে ডি কককে বিদায় করেন আরাফাত সানী। সানীর বলে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দেন ডি কক। ৩১ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। ইনিংসের পরের ওভারে বল করতে আসেন নাসির হোসেন। তার প্রথম বলে চার মারেন জেপি ডুমিনি। তবে পরের দুই বলে ডুমিনি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সাজঘরের পথ দেখান নাসির। সাকিবের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৬ রান করেন ডুমিনি। আর ৪০ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিকুর রহিম। এরপর চতুর্থ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন ফাফ ডু প্লেসিস ও ডেভিড মিলার। ১৬ রান করা ডু প্লেসিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এরপর আর উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও রাইলি রুশো মিলে ১৪ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান এনে দেন। মিলার ২৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ৬ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান করেন রুশো। বাংলাদেশের পক্ষে নাসির হোসেন নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানী ও মুস্তাফিজুর রহমানের ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট। প্রথম ম্যাচের একাদশ থেকে বাংলাদেশ দলে আজ একটি পরিবর্তন এসেছে। সোহাগ গাজীর বদলে অভিষেক হয়েছে রনি তালুকদারের। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও একটি পরিবর্তন হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে সাফল্য পেলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেতে হয় স্বাগতিকদের।


     এই বিভাগের আরো খবর