,

ভূত-অদ্ভুত

বেলাল মঞ্জুর

নিজে নিজে মরে যার বজ্জাত পুত
মরে গিয়ে পাড়াগাঁয়ে হয়ে যায় ভূত।
ভূত হয়ে বাঁশবনে করে তারা বাস
রাত হলে নেমে এসে খায় কচিঘাস।
আশেপাশে কেউ এলে করে চিৎকার
লোকে ভয়ে গাঁয়ে গিয়ে দেয় ধিক্কার।
এরচেয়ে বেশি আর খুব কিছু নেই
গাঁয়ে যতো লোক আছে এই জানে এই।
সেইদিন মরে গেল নেতাজির ছাও
খুব পাঁজি, বজ্জাত, বাজে-পচা তাও।
মরে গিয়ে ভূত হয়ে, হয়ে গেল চোর
বাড়ি বাড়ি চুরি করে নুন চিনি গুড়।
রিলিফের আটা চুরি, চুরি করে চাল
শীতদিনে গরীবের তরে রাখা শাল।
একখানি কাঁথা শুধু, আনে বুড়িমা’র
এইভাবে হররোজ চুরি বাড়ে তার।
দিনদিন বেড়ে চলে তার উৎপাত
বুড়ি বলে মনে মনে হবি কুপোকাত।
একদিন বড়শিতে নাড়ু বেঁধে তায়
উঠোনের এক কোণে রাখে বুড়িমায়।
রাত হলে নাড়ুটাকে গিলে নেয় ভূত
বড়শিটা পেটে বিঁধে করে ঘোঁৎঘোঁৎ।
বড়শির বেদনাতে করে ধড়ফড়
সূতোধরে টান দিলো চলে আসে ধড়।
সে কী জ্বালা-ছটফট, গিলে নেয় বিষ
লোকদের ডেকে বলে ক্ষমা করে দিস।
বাঁশবনে সভা বসে জড়ো হয় সব
ভূতও কি মরে যায় ওঠে কলরব।
লোকে যদি নিজে মরে জানি হয় ভূত
ভূত যদি নিজে মরে হবে কার পুত।
একজন বলে সেতো ছিল বদভূত
আজ থেকে তার নাম ভূত-অদ্ভুত।


     এই বিভাগের আরো খবর