,

নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেললেই খুশি সাকিব

সময় ডেস্ক : বাংলাদেশের গ্রুপে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের পড়া কি স্বস্তির? কথাটা মিডিয়ার তৈরি বলে পরিষ্কার মন্তব্য টাইগার টি-২০ কাপ্তান সাকিব আল হাসান। তার মতে, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হোক কিংবা ভারত প্রস্তুতি একই। বিশ্বকাপে দলের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং দল পরিস্থিতি অনুযায়ী পারফরম্যান্স দিলেই খুশি টি-২০’র বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
গতকাল রোববার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট কাজ করতে হলে তার জন্য কষ্টকর। আমি তো চাইব দুই ওপেনার ২০ ওভার খেলুক। না পারলে তিনে বা চারে নামা ব্যাটার কাজটা করুক। এজন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার কথা বলছি। দু’জন ১৫ ওভার ব্যাটিং করে দায়িত্ব শেষ ভাবলে দলের জন্য ভালো হয় না। আমাদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। দলের প্রয়োজন পরিস্থিতি অনুযায়ী পারফর্ম করলেই যথেষ্ট।’ গ্রুপের প্রতিপক্ষ নিয়ে বাড়তি ভাবনাও পছন্দ নয় সাকিবের। জিম্বাবুয়েকে সহজ আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিন ভাবতে নারাজ তিনি। ওভাবে নাকি প্রস্তুতি হয় না, ‘বিশ্বকাপের পাঁচটা ম্যাচের জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। যার সাথেই খেলি প্রস্তুতি একই থাকবে। হোক তা নেদারল্যান্ডস বা দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডস আসাতে স্বস্তি এই ভাবনা মিডিয়ার তৈরি। এভাবে আমরা প্রস্তুতি নেই না। পৃথিবীর কোনো দলই নেয় না।’
সাকিব জানিয়েছেন, ইতিবাচক-নেতিবাচক শব্দযুগল প্রতিপক্ষ তার চিন্তার অংশ নয়। তার চিন্তা ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভালো খেলা এবং জেতা। তারা দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে যে বিশ্বকাপে দল ভালো করেনি। তবে এবার ভালো করার সুযোগ দেখছেন তিনি। সাকিবের মতে, তিনি অন্তত বিশ্বাস করেন এই দলের পূর্বের বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো করার সামর্থ্য আছে। ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে হোবার্টে। ওই ম্যাচের উইকেট কেমন হবে এবং একাদশ বিশেষত টপে ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে দেখার থাকবে বিষয়টি। লিটন ওপেনিংয়ে কেন নয় সেই প্রশ্নও রাখা হলো সাকিবের কাছে। একটু বিরক্ত হয়েই উত্তর দিলেন তিনি, ‘লিটন ওপেনিংয়ে খেললেই কি আমরা জিতব? কিংবা ওপেনিং ঠিক হয়ে গেলেই?’
মাঠ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুজন ভাইয়ের সঙ্গে কোচ মাঠ দেখতে গিয়েছিলেন। একটা ধারণা নিয়ে এসেছেন। খেলোয়াড়রা মাঠ দেখবে। নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করবে। একেকজনের চিন্তা তো একেকরকম। মাঠে ফিল্ডিং বা ট্রেনিং করতে পারলে ভালো হতো। সেটা সম্ভব হয়নি। এখানে পরিস্থিতির সঙ্গে যত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবেন, খোলা মনে ভাববেন, তত ভালো করা সম্ভব।’


     এই বিভাগের আরো খবর