,

আশা দিয়ে হারল রংপুর ফাইনালে মাশরাফির সিলেট

সময় ডেস্ক : গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা সিলেট স্ট্রাইকার্স ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচেও দারুণ খেলেছে। ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল মাশরাফিদের। ম্যাচ সহজ করে ফেলেছিল সোহানের রংপুর রাইডার্স। তরুণ তানজিম সাকিব ওই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। সিলেটের ১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৯ রানে হেরেছে রংপুর। কুমিল্লার পর সিলেট উঠে গেছে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় সিলেট। ওপেনিং জুটিতে নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় ৮.৫ ওভারে ৬৫ রান যোগ করেন। বাঁ-হাতি শান্ত ৩০ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে ফিরে যান। পরেই তৌহিদ হৃদয় আউট হন ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করে। এরপর রান বাড়িয়ে নেওয়ার চিন্তায় তিনে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। তিনি ১৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে পরিকল্পনা কাজে লাগান।
টপ অর্ডারের ওই ভালো শুরুর ফায়দা সিলেটের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা নিতে পারেননি। চারে নামা জাকির হাসান ১৩ বলে ১৬ করে আউট হন। পাঁচে নেমে রায়ান বার্ল ৬ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান। মুশফিকুর করেন ৬ রান। তবে লোয়ারে থিসারা পেরেরা ১৫ বলে ২১ ও জর্জ লিন্ডে ১০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে খেলেন ২১ রানের ইনিংস। ভালো সংগ্রহ পেয়ে যায় সিলেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে স্যাম বিলিংস ফিরে যান। তিনে নামা শামীম পাটোয়ারি ১৪ করে আউট হন। ওপেনার রনি তালুকদারের সঙ্গে জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান। ক্যারিবীয় তারকা ১৪ বলে ৩০ রানের ঝড় দেখিয়ে ফেরেন। দলের রান তখন ৬৮। এরপর রনি ও নুরুল হাসান সোহান ৮২ রানের জুটি গড়ে আউট হন।
শেষ তিন ওভারে মাত্র ৩৩ রান দরকার ছিল রংপুরের। ক্রিজে ছিলেন সোহান ও রনি। কিন্তু তরুণ তানজিম সাকিবের ১৮তম ওভারে দু’জনই আউট হন। ওই ওভারে আসে মাত্র দুই রান। অধিনায়ক সোহান ২৪ বলে চারটি চারে ৩৩ রান করেন। রনি আউট হন ৫২ বলে ৬৬ রান করে। তার ব্যাট থেকে সাতটি চার ও দুটি ছক্কার শট আসে। পরের দুই ওভারে ১১ রান নিয়ে তিন উইকেট হারায় রংপুর। আটকে যায় ৮ উইকেটে ১৬৩ রানে।
সিলেটের তরুণ তানজিম দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। রুবেল ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে শেষ ওভারটা দুর্দান্ত করেছেন অভিজ্ঞ এই গতিময় পেসার। এছাড়া লুক উড ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। রংপুরের হয়ে শেখ মাহেদি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে একটি এবং পেসার হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। দাশুন শানাকা দুই উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর