বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে গ্রেফতারী পরওয়ানা নিয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেরাচ্ছে পৃথক মামলার ওয়ারেন্টের আসামী ফরহাদ তালুকদার নামে এক আলোচিত ব্যক্তি। গত দু’সপ্তাহ পূর্বে থানার ভিতর কোয়ার্টারে এক পুলিশ সদস্যর বাসায় ওয়ারেন্টভোক্ত আসামী কে দাওয়াত খাওয়ানো নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তুলপাড় চলছে। জানা যায়, বাহুবল উপজেলার হিলালপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ তালুকদারের পুত্র ফরহাদ তালুকদারের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে নিজেকে একজন ভিআইপি লোকের স্নেহভাজন পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এ প্রতারণায় পড়ে বাহুবল মডেল থানার কনষ্টেবল (গাড়ী চালক) আজহারুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য। তাকে কনষ্টেবল থেকে এ.এস.আই পদোন্নতি দেয়ার প্রলোবন দেয়। আজহার তা বুঝে উঠার আগেই ফরহাদ কে খবর দিয়ে তার বাসায় নিয়ে বিপুল পরিমানের টাকা হাতে তুলে দেয়। কিন্তু অধ্যাবদি তার কোন পদন্নোতি না হওয়ায় আজহার চরম বিপাকে পড়ে। ফরহাদের হাতে তুলে দেয়া টাকা ফেরতের চেষ্টায় বার বার আজহার ফরহাদের দ্বারস্থ হয়। অবশেষে স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় লক্ষাধিক টাকা ফেরত আনেত সক্ষম হয়। তবে বাকি টাকাগুলো ফেরত আনতে পারেনি। তাতে ওয়ারেন্ট অফিসার এ.এস.আই কপিল উদ্দিন উদাসিনতার মনোভাব নিয়ে আজহারের টাকা উদ্ধারের তৎপরতা চালান। তবুও টাকা ফেরত আসেনি। ফলে ওয়ারেন্ট অফিসার কপিল উদ্দিন ফরহাদের পিতাকে শাসিয়ে আসেন। এরই মধ্যে গত দু’সপ্তাহ পূর্বে ফরহাদকে কনষ্টেবল আজহারের বাসায় দাওয়াত খেয়ে দুপুরে থানা থেকে বের হতে দেখা যায়। এ খবরে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জের নিয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ফরহাদ আদালতের ওয়ারেন্টভোক্ত আসামী হয়েও ধরাছোয়ার বাইরে থাকছে। স্থাণীয় লোকজনের ধারণা, পুলিশের টাকা উদ্ধার স্বার্থেই আদালতকে অবমাননা করা চলছে।
Leave a Reply