সময় ডেস্ক : স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারে বয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও, নতুন গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জ্যারেড বেঞ্জ এবং ড. মাইকেল স্কালিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় চার লাখের বেশি মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করে তারা দেখেছেন, যারা নিয়মিত স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম।
গবেষণায় বলা হয়, চিন্তাশীল এবং সক্রিয়ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ ও সক্রিয় থাকে। যেমন- পাজেল গেম খেলা, খবর পড়া, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং রিমাইন্ডার সেট করা মস্তিষ্কের জন্য ইতিবাচক।
বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইন্টারেক্টিভ স্ক্রিন টাইম স্মৃতিশক্তি রক্ষায় সহায়ক। গবেষকদের মতে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ কমে এবং স্মৃতিশক্তি লোপের হার ২৬ শতাংশ হ্রাস পায়।
ড. বেঞ্জ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জটিল চিন্তা, সামাজিক সংযোগ এবং জীবন সহজ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে একাকীত্ব কমে এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায়, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
তবে গবেষকরা সতর্ক করেছেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার অবশ্যই অর্থবহ এবং সক্রিয় হতে হবে। নিছক টিভি দেখা বা অলস স্ক্রিন টাইম মস্তিষ্কের উন্নতিতে সহায়ক নয়।
পরিশেষে বলা যায়, স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসকে সচেতনভাবে ব্যবহার করলে তা বয়স্কদের জন্য বন্ধু হয়ে উঠতে পারে।
Leave a Reply