,

খুব গরমে মন চাইলেও বরফ ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়!

সময় ডেস্ক : গরমে পানির মতো পরম আকাঙ্ক্ষিত বস্তু বোধ হয় আর কিছুই নেই। তেষ্টা মেটাতে পানি ছাড়াও নানা রকম পানীয় খাওয়া হয়ে থাকে। খাবার থেকেও কিছুটা পানি পায় শরীর, তবে পানির ঘাটতি মেটাতে পানিই সেরা উপকরণ।
কতটা পানি দরকার : পরিবেশের তাপমাত্রার তারতম্যভেদে পানির চাহিদা কমবেশি হয়। প্রচণ্ড গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়ে শরীর। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। তবে এটির একেবারে ধরাবাঁধা কোনো হিসাব নেই। প্রচণ্ড গরমে কায়িক পরিশ্রম করলে পানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো পরিস্থিতিতে যদি তৃষ্ণা অনুভব করেন, গলা শুকিয়ে আসে, তাহলে অবশ্যই পানি খেতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা তৃষ্ণার ব্যাপারে খুব একটা সচেতন না-ও থাকতে পারেন। বাড়ির অন্যদেরই দায়িত্ব তাঁরা ঠিকঠাক পানি খাচ্ছেন কি না, নিশ্চিত করা। প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক থাকলে বুঝতে হবে, পানির চাহিদা ঠিকঠাক পূরণ হচ্ছে। গরমে পানিশূন্যতা হয় নানা কারণে : গরমে বমি ও ডায়রিয়ার হার বাড়তে দেখা যায়। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় গ্রহণের ফলেই এমনটা হয়। ডায়রিয়া ও বমি হলে শরীর থেকে পানি ও প্রয়োজনীয় লবণ বেরিয়ে যায়। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তির শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে খুব সহজেই। বমি কিংবা ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইনের বিকল্প নেই। সঙ্গে পানি ও অন্যান্য তরল খাবার তো খেতেই হবে।
পানির তাপমাত্রা : খুব গরমে মন চাইলেও একেবারে বরফঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে গলা বসে যেতে পারে কিংবা ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির সঙ্গে ফ্রিজের পানি মিশিয়ে তাপমাত্রাটাকে সহনীয় পর্যায়ে এনে খাওয়া উচিত। পানি কিংবা পানীয়ে বরফ না মেশানোই ভালো। গরমে খুব বেশি খারাপ লাগলে বরং মৃদু ঠান্ডা পানি চোখেমুখে ছিটিয়ে নিন, প্রয়োজনে গোসল করে ফেলুন।
পানীয়-বৃত্তান্ত : গরমে অনেকে গ্লুকোজ খেয়ে থাকেন। দ্রুত শক্তি ফেরাতে এ পানীয় কাজে দেয়। তবে খুব বেশি গ্লুকোজ না খাওয়াই ভালো। চিনি মেশানো পানীয় খাবেন না। কোমল পানীয়ও নয়। পানীয়ে লবণ মেশানোর প্রয়োজন হলেও একেবারেই সামান্য পরিমাণে মেশানো উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর