,

‘এ টু জেড’ ফিট থাকবেন এই শীতে!

সময় ডেস্ক ॥ শীতের বৈরী আবহাওয়া ত্বকের জন্য বয়ে আনে নানান ধরনের সমস্যা। পাশাপাশি অনেক সময় ত্বকে হতে পারে বিভিন্ন রোগও। কিছু চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এই সময়। শীতে ত্বকের যতœ নিয়ে তাই সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য আজকের প্রতিবেদন। সবার ত্বক এক রকম নয়। একেক ধরনের ত্বকে শীতে একেক রকমের সমস্যা হয়। তেমনি আলাদা যতœও নিতে হয়। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকে সমস্যা কম হয়। শুষ্ক : যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এ ছাড়া ত্বকে শুষ্কভাব কাটাতে দিনে কয়েকবার পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুতে হবে। সূযের্র আলোয় বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এ সময় অনেকের শুষ্ক ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুদিন ঘরে বানানো ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। ফেসপ্যাক : গাজর বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই ১ টেবিল চামচ ও মধু ১ চা চামচ একত্রে ভালো করে মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখ অল্প ভেজা থাকা অবস্থায়ই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তৈলাক্ত ও মিশ্র : শীতের সময়টা তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বক অনেক ভালো থাকে। অয়েল ফ্রি ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া দিনে কয়েকবার পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে ভেজা থাকা অবস্থায়ই ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। রাতে ঘুমের আগে ক্রিমবেইজ ময়েশ্চারাইজারও লাগানো যেতে পারে। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকে ব্রণের সমস্যা শীতে কম হয়, যদি ত্বক পরিষ্কার রাখা যায়। সপ্তাহে এক দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। ফেসপ্যাক : ময়দা বা বেসন ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ঠোঁট ফাটা অনেকের সারা বছরই ঠোঁট ফাটে, কারো আবার শুধু শীতে। এর কারণ ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। শীতে পানি কম না পান করে বরং বেশি করে পান করতে হবে। ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে হাত-মুখ ধোয়ার সময়ই নরম গামছা বা রুমাল ভিজিয়ে আলতো করে ঠোঁট মুছে ফেলতে হবে। এরপর পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপএনহেনস কিংবা গ্নিসারিন লাগাতে হবে। লিপস্টিক ব্যবহার করলে গ্লিসারিন বা ক্রিম বেইজড লিপস্টিক বেছে নিতে হবে। চুলের যতœ শীতে চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। খুশকির উপদ্রবও বেড়ে যায়। অনেকের মাথার স্ক্যাল্পে তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয়। যাদের প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয়, তাদের প্রতিদিন শ্যাম্পু করা প্রয়োজন এবং শ্যাম্পু করার পর চুল ভালো করে ধুতে হবে, যেন শ্যাম্পুর গন্ধ চুলে না থাকে। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারলে ভালো। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এ সময়টা বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে ঢেকে বাইরে বের হতে পারলে ভালো। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুদিন ঘরে বানানো হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে। হেয়ার প্যাক নির্জীব আমলকী গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, টক দই ২ টেবিল চামচ মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত পাকা কলা অর্ধেকটা কিংবা পাকা পেঁপে ৩-৪ টুকরা নিয়ে ভালো করে চটকে এর সঙ্গে টক দই ২ টেবিল চামচ ভালো করে মিশিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। রুক্ষ অডোকাভা ফল অর্ধেকটা, মেয়োনিজ ২ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ ও একটি ডিমের সাদা অংশ একত্রে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথার স্ক্যাল্পে ও পুরো চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। পা ফাটাশীতের শুরুতেই পায়ের যতœ নিলে পা ফাটা রোধ করা সম্ভব। মূলত পায়ের ত্বক অপরিষ্কার থাকলেই পা ফাটে। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফিরে পা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে সাবান ব্যবহার করতে হবে। এরপর মুছে ময়েশ্চারাইজার বা পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে ভালোমতো ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন কুসুম গরম পানি বালতিতে নিয়ে এর মধ্যে লিকুইড সোপ বা শ্যাম্পু কয়েক ফোঁটা দিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর পা তুলে ঝামা দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। এর পরও যাদের পা ফাটবে, তাদের রাতে পা ভালো করে ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্নিসারিন লাগিয়ে নরম সুতির মোজা পরে ঘুমাতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর