,

—খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সমীপেষু,

জনাবা
আমাদের শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম গ্রহন করিবেন। সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক দ্যা চ্যাম্পিয়ান অব আর্থ পুরস্কার লাভ করায় এবং ঢাকায় নাগরিক সমাবেশে দেশবাসীকে এই সম্মানটুকু উৎসর্গ করায় অশেষ ধন্যবাদ জানাই। দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, শত বাধা ডিঙ্গিয়ে আপনার সুকৌশল নেতৃত্বে যখন আমাদের দেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশের চিহ্নিত রাষ্ট্রবিরুধী শক্তিগুলো পরিকল্পিতভাবে পরপর দুইজন বিদেশী নাগরিককে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বিনষ্ট করছে। বিদেশিদের মনে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সারা বিশ্বে যখন মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীরা নানা প্রক্রিয়ায় মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে শান্তিবাদী জনগণকে ধ্বংস করার একটি জঙ্গি সাম্রাজ্য গঠনের জন্য এমন কোন কাজ নেই তারা করছেনা। আমাদের প্রিয় জন্মভূমিও রাজনৈতিক ও ভৌগলিক কারনে এদের কার্যক্রম থেকে নিরাপদ নয়। এই দুষ্ট শক্তি স্বাধীনতা বিরোধী, ধর্ম ব্যবসায়ী, যুদ্ধপরাধী জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠাকারী এবং সময় সুযোগ বুঝে কখনও তালেবান, কখনও আই এস, কখনও ওয়াহাবী মতবাদ বিশ্বাসী কিংবা ইসলামের নামে ইসলাম বিরোধী কুচক্রী মাত্র।
জনাবা, অতি সম্প্রতি আপনার একটি মূল্যবান বক্তব্য যাহা লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর দেশে এবং বিদেশে খুবই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যেমন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশী জামায়াতের একটি গোপন অংশ যাহা পূর্ব লন্ডনের মসজিদে লুকিয়ে থেকে বাংলাদেশের মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধপরাধীদের সাথে মিলে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু বাংলাদেশী বৃটিশ যুবক ও যুবতীদের ব্রেইন ওয়াশ করে সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধে জিহাদী হিসাবে পাঠাইতেছে। এদের একটি অংশ বাংলাদেশে গিয়ে নানাভাবে যুবক ও যুবতীদের সিরিয়ায় গিয়ে জেহাদে যোগ দেওয়ার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম ও ট্রেনিং প্রদান করছে। ইহা যে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জন্য হুমকীর বিষয় তাহা আপনার সচেতন দৃষ্টি এড়ায়নি। বৃটিশ সরকারকে এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানোর ব্যাপারটা আমরা খুবই পজিটিভ হিসেবে নিয়েছি। আমরাও জানি, আপনি জানেন এরা লন্ডনসহ বিদেশ থেকে নানা অছিলায় লক্ষ লক্ষ পাউন্ড ডলার তাদের জঙ্গি সংগঠনকে পাটায়। এরা এতই বাড় বেড়েছে লন্ডনের মতো জায়গায় বসে চল্লিশ জনের মতো আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের নামে হিট লিস্ট তৈরি করে পত্র পত্রিকায় ছেড়ে দিয়েছে। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের নগন্য এই দুইজনের নামও হিট লিস্টে রয়েছে বলে সোর্সরা জানিয়েছে। আমরা এজন্য ভীত নই। দেশী বিদেশী ঐসব চরমপন্থী, জঙ্গিবাদী, বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ফ্রন্ট গঠন করে তুলার জন্য কিছু প্রস্তাবলী আপনার বিবেচনার জন্য তুলে ধরছি। যেমন ঃ- অবিলম্বে খুব দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশর গোয়েন্দা বিভাগকে পূণগঠন ও বর্ধিত করে সৎ ও নির্ভিক দেশ প্রেমিক লোকদের নিয়ে একটি সেল গঠন করতে হবে। এই সেল রাজনৈতিকভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহকে প্রয়োজন মোতাবেক লজিষ্টিক সাপোর্ট দিবে। যেহেতু আমাদের দেশ, বিদেশী ষড়যন্ত্রের জালে পড়েছে এর জন্য বিদেশীদের এবং প্রবাসীদের দেশ বিদেশ চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে হবে। যে সমস্ত রাজনৈতিক দুষ্ট চক্র দেশের ভীতরে এবং বিদেশে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এদের চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এরা বাংলাদেশ বিরোধী কার্যে বিদেশ থেকে টাকা পয়সা পাঠায় এদেরকে কঠোরভাবে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় নিতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের ভীতরে কুচক্রিদেরকে ঘটনার ঘটার আগে ধরা যাচ্ছেনা এবং ঘটনার ঘটানোর পরও ধরা যাচ্ছেনা সেহেতু আমাদের মনে হয় বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগকে অভিলম্বে যোগ্য লোক নিয়োগ ও জনবল বাড়াতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের ভুলত্র“টি মার্জনা করবেন। লন্ডনে বসে অবর্চিন বালকের নানা কথাবার্তা আমাদের সহ্য হয় না। লন্ডনে সে নাকি অসুস্থ্য, এর জন্য প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নেয়। যদি তাই হয় তবে তার মা যিনি দলের চেয়ারপার্সন তাকে কিভাবে নিজে কার ড্রাইভ করে বাসায় নিয়ে যায়।
আমাদের সহপাঠি ও বন্ধু প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আপনার সরকারের সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসীর আলীর মাগফেরাত কামনা করে তাহার আসনে একজন সৎ ও ভাল তথা তাহার সুযোগ্য স্ত্রীকে মনোনয়ন দিলে খুশি হবো। হবিগঞ্জ থেকে একজন সুযোগ্য লোক যেমন বঙ্গবন্ধুর সহচর প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজী সাহেবের সুযোগ্য পুত্র দেওয়ান শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজীকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে নিয়োগ করিলে বাধিত হইবো। আমরা যেমন বঙ্গবন্ধুর অনুসারী তেমনি দেওয়ান ফরিদ গাজী সাহেবেরও অনুসারী। প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশের মাটিতে একদিন শায়িত হবো এই আশা ব্যক্ত করছি। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন এই কামনা করে শেষ করছি।


     এই বিভাগের আরো খবর