,

আজমিরীগঞ্জে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জুয়েল চৌধুরী:: আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিষ্টার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেকোন সময় ধসে পড়ে প্রাণ-হানিসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে ঘটতে পারে। জানা যায়, ১৯৮৭ সালের একই জানুয়ারী চট্টগ্রাম বিভাগীর কমিশনার আলী হায়দার এ অফিসটি উদ্ভোধন করেন। এর আগ থেকেই এ ভবনটি ঝুকিপূর্ণ ছিল। প্রায় ৩৭ বছর যাবৎ এ ভবনটির কোন সংস্কার না করায় আতঙ্কের মাঝেই অফিস করছেন কর্মচারীরা। এড. ভোকেট সাইদুল আমিন চৌধুরী শিরুল ও একজন দলিল লিখক জানান, পরিত্যাক্ত সাব-রেজিষ্টার অফিস ও আদালত ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন। ভবনগুলো যে, অবস্থা হয়েছে তা যেকোন সময় ধসে পড়ে রানা প্লাজার মত প্রাণ-হানি ঘটতে পারে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন শত-শত লোক মামলা হাজিরা ও জায়গা কেনা বেচা করতে এ অফিসে আসেন। কিন্তু বসার মত পর্যাপ্ত কোন জায়গা না থাকায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে বা মাটিতে মাদুর পেতে বসে কাজ করছেন। তাছাড়া দলিল লিখক ও আইনজীবি সহকারীদেরকে ও একই অবস্থা। এমনকি কোন লকআপ না থাকায় আসামী নিয়ে পুলিশ পড়ে বিপাকে। আদালতে কোন আসামী আটক করলে সাথে সাথে নিতে হয় আজমিরীগঞ্জ থানায় নতুবা হবিগঞ্জ কারাগারে। কর্মচারী ও দলিল লিখকদের দাবি অচিরেই ভাটী বাংলার প্রাণ এ উপজেলার একমাত্র ভবনটি সংস্কার করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর